কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, রাজ্যসভায় দাবী কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লির উপকন্ঠে প্রায় ৭০ দিন ধরে আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকরা। তা নিয়ে শুক্রবার সংসদে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।
এদিন সংসদে তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি রাজ্যে কৃষক আন্দোলন সীমাবদ্ধ রয়েছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কৃষকদের মধ্যে প্ররোচনা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী।
এদিন রাজ্যসভায় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, কৃষকদের কল্যাণে দায়বদ্ধ প্রধানমন্ত্রী এবং নরেন্দ্র মোদির সরকার। কৃষক সংগঠন এবং বিরোধীরা কৃষি আইনের ত্রুটি বের করতে ব্যর্থ হয়েছে দাবী করেন তিনি।
কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলাম আইনে কালো কোন বিষয়টি রয়েছে?
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ গাজিপুর বর্ডারে ১৫ জন সাংসদের পথ আটকালো পুলিশ
কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে ১৫ তম আর্থিক কমিশন গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে ২.৩৬ লক্ষ কোটি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। যা মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। গ্রামীন স্বাস্থ্য খাতে ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এখনও অবধি ৫ বছরে আরও ২.৮ লক্ষ কোটি টাকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে গ্রামীন অর্থনীতির উন্নতির ক্ষেত্রে মনরেগার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।
এদিন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কৃষি মন্ত্রীর অভিযোগ করেন, কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে যে তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে সরকারকে সেবিষয়ে জানানো হোক।
তিনি এও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সরকার কৃষি আইনে বদল আনতে চাইছে মানে এই নয় আইনে কিছু ত্রুটি রয়েছে। শুধুমাত্র কিছু রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। কৃষকদের ফসল আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে ১০০ টি কিষাণ রেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রীর দাবী, ফসলের উৎপাদন মূল্যের চেয়ে বেশী দামে নুন্যতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের আয় বাড়ছে বলে রাজ্যসভায় দাবি করেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।
অন্যদিকে কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে সরব হয়েছেন তাঁরাও।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করে বলেন, ব্রিজ বানান দেওয়াল নয়। এমনকি বৃহস্পতিবার সকালে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধা পান ১০ টি বিরোধী দলের ১৫ জন সাংসদ।