দেশুজুড়ে বন্‌ধের ডাক কৃষকদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চার মাসে পড়ল দিল্লি উপকন্ঠে কৃষকদের আন্দোলন। কেন্দ্রের সরকারকে বার্তা দিতে শুক্রবার ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। সকাল থেকে বন্‌ধের জেরে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। বন্‌ধের ফলে বাতিল হয়েছে দিল্লি থেকে অমৃতসর, চন্ডিগড় এবং কালকার বেশ কিছু ট্রেন।

শুক্রবার সকাল ৬ তা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা অবধি চলবে বন্‌ধের। দিল্লি এবং তার আশেপাশে বন্‌ধের প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারা। কৃষকরা রেল এবং সড়কপথে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন এসকেএমের নেতারা।

বন্ধ বেশ কিছু সড়কপথও। ৯ নং জাতীয় সড়কের ওপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কৃষকরা। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। আন্দোলনকারী কৃষকদের রুখতে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে দুই দিনের ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী

এর আগেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা দর্শন পাল জানিয়েছেন বন্‌ধের দিন দুধ এবং সবজির সরবরাহ বন্ধ রাখবেন তাঁরা। একইসঙ্গে বন্‌ধের দিন কোনরকম অশান্তি থেকে দুরে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। বন্‌ধের দিন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এদিন বাজার খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয়েছিল তিন কৃষি আইন। তারপর থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরা। এরপর ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি উপকন্ঠে চলছে তাঁদের আন্দোলন।

সিঙ্ঘু, টিকরি এবং গাজিয়াবাদে শামিল হয়েছেন দেশের কয়েক লক্ষ কৃষক। একাধিক দফার বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও সমাধান। তাই আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকরা। একাধিক রাজ্যে মহাপঞ্চায়েতের মাধ্যমে তাঁদের বার্তা প্রতিটি কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেইসঙ্গে আইন বাতিল না হওয়া অবধি আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

২২ জানুয়ারি শেষবার কৃষকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান মেলেনি। তাই আন্দোলন দীর্ঘায়িত করেছেন কৃষকরা। সেই দীর্ঘ আন্দোলনের কর্মসুচী হিসাবেই শুক্রবার দেশজুড়ে বন্‌ধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট