“কৃষকদের দাবি মানতে হবে , সকলকে একজোট হতে হবে, এগিয়ে আসুন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতারাও “: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: দিল্লির কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত সহ তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন কেন্দ্রীয় সরকার গায়ের জোরে ওই আইন পাশ করিয়েছে। সাত মাস ধরে কৃষকেরা যার প্রতিবাদ করছে।

এদিন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার কেন কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে না?

কৃষি আইন বাতিলের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুনরায় অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলোকেও এক মঞ্চে আসতে হবে। কোনও একটা রাজ্যের সঙ্গে অন্যায় হলে বাকিদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাকেশ টিকায়েত বলেন, মমতা ব্যানার্জি পুঁজিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যোগ্য জবাব দিয়েছেন । এখন বাংলা যে পথে হাঁটবে গোটা দেশ সেই পথ অনুসরণ করবে।

বৈঠকে কৃষক আন্দোলন ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন এতদিন টিকা কেন দেওয়া হলো না? প্রধানমন্ত্রী তো ভাষণ ছাড়া কিছুই দেন না।

এদিনের বৈঠকের পর এক সাংবাদিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন ইউপিএ-কে নেতৃত্ব দেবেন? উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,” আমি শুধু মোদি কে তাড়াতে চাই” ।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু হওয়া নো ভোট ফর বিজেপি ক্যাম্পেইনকে সব রাজ্য নিয়ে যেতে চাইছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। তবে এবার নতুন স্লোগান উঠবে। আর নয় অন্যায়ের পাল্টা আর নয় বিজেপি।

মনে করা হচ্ছে এই স্লোগানে সীলমোহর দিতে চাইছেন কৃষকরা। আর এক্ষেত্রে পাশে চাইছেন সমস্ত অবিজেপি বিজেপি দলগুলিকে।

কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশের কৃষক শ্রমিক যুবদের বাঁচানোর জন্য সবাইকে একজোট হতে হবে। যারা বিজেপির পুরনো নেতা চাইলে তারা যোগ দিতে পারেন। ক্ষমতায় এসে থেকে বিজেপি খবরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। কালো আইন আনা ছাড়া তাদের আর কোন কাজ। নেই যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি কেন্দ্র নাম আছে ততক্ষণ আমরা তাদের সঙ্গে আছি।

সম্পর্কিত পোস্ট