কৃষকদের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে নাঃ সুপ্রিম কোর্ট
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন চলবে এতে পুলিশ কোনও বাধা দেবে না, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কৃষকদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নও নেই, স্পষ্ট বার্তা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের।
২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ঘটনায় কয়েকটি মামলা দায়ের হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কৃষকদের আন্দোলনের ফলে যাতায়তের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এই দাবী সহ একাধিক বিষয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই সমস্ত মামলাগুলি নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি চলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
শুরুতেই আদালতের তরফে জানানো হয়েছে কোনও আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। সেটা কোনভাবেই খর্ব করা যায় না। শুধু খতিয়ে দেখা দরকার এর দলে কারোর কোনও ক্ষতি না হয়। এদিন মামলার শুরুতেই জানিয়ে দেয় আদালত।
বুধবার এই মামলা চলাকালীন একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই কমিটিতে কৃষি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। নিরপেক্ষভাবে দু’পক্ষের কথা শুনেই ওই কমিটি আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানানো হয়। কিন্তু ততদিন অবধি কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুনঃ অক্ষত রইল বামেদের দুর্গ, কেরালাকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজি রয়েছে তাঁরা। কিন্তু আদালতের তরফে বলা হয়, আমরা আগেই বুঝতে পেরেছি কৃষকের সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের মনে হয় না কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও সমাধান বের করতে পারবেন। তাই কমিটিকে এর সিদ্ধান্ত নিতে দিন।
এদিন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করতে হবে। তবে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান বের হওয়া প্রয়োজন। শুক্রবার ফের কৃষক প্রতিনিধিদের রেখে কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে আদালত।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, যদি আইনে একাধিক পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সরকারের আনা আইনে কি ছিল সেটা স্পষ্ট করে বোঝা যাবে না। বরং সরকারের উচিত নতুন বিল এনে সংসদে তা নিয়ে আলোচনা করা।
এদিন কৃষক আইন নিয়ে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে তা থেকে সমাধান সূত্র বের করার জন্য সরকার এবং কৃষক উভয়কেই এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আদালতের তরফে কৃষক নেতৃত্বকে বলা হয়, আপনাদের আন্দোলনের অধিকার রয়েছে। আপনাদের আন্দোলনের সঠিক উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু একমাত্র বৈঠকের মাধ্যমেই তা মেটানো সম্ভব। কেবলমাত্র বছরভর আন্দোলন করলেই সমস্যার সমধান হবে না।