রবিবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে কৃষকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি সীমান্তে লাখো সংখ্যায় আন্দোলনরত কৃষকরা এবার বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিলেন। রবিবার দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। এই মুহুর্তে গুরুগ্রাম এবং হরিয়ানায় কৃষকদের আন্দোলনকে প্রতিহত করতে প্রায় ৪০০০ হাজারের পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে রাজস্থান এবং হরিয়ানা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এসে উপস্থিত হচ্ছেন । রবিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। অন্যদিকে শনিবার থেকে দিল্লি-আগ্রা হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে রয়েছেন বেশ কিছু সংখ্যক কৃষক। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে তাঁরা প্রস্তুত।
একদিকে যখন বিপুল সংখ্যক কৃষকরা তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দোলনে শামিল হয়েছে, অন্যদিকে কৃষি আইনের সমর্থনে শনিবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার ২৯ টি কৃষক সংগঠনের নেতারা। আইন প্রত্যাহার করা হলে আন্দোলনে নামবেন বলে কেন্দ্রকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।
আন্দোলনরত কৃষকদের দাবী এগুলো বিজেপির সাজানো ঘটনা। আন্দোলনকারীদের ওপর চাপ তৈরি করতে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ, কোভিড স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই আন্দোলন করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনে বসেছেন কয়েক লক্ষ কৃষক। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব থেকে ট্রাক্টর ভর্তি মানুষ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ১৪ ডিসেম্বর অনশনের ডাক কৃষক সংগঠনগুলির
শনিবার আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে উঠে আসে কৃষকদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, নতুন আইনে কৃষকরা লাভবান হবে। পাশাপাশি নতুন কৃষি আইনে সরকারী বিনিয়োগ বাড়বে। এনডির অন্যতম শরিক এবং হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা জানিয়েছেন, আমি আশাবাদী কেন্দ্র এবং কৃষকদের মধ্যে বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে একটড়ি সিদ্ধান্তে উপনিত হবেন দু’পক্ষ।
অন্যদিকে, দিল্লির আন্দোলনের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ছাত্র। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আন্দোলন অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে চলবে এই মামলা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হবে শুনানি। অন্যদিকে, আন্দোলনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কিছু কৃষক। একইসঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লি প্রবেশাধিকারের জন্য মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে দ্রুত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে বিজেপি নেতারা। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। মঙ্গলবার আরও একবার কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে পাঠানো প্রস্তাব প্রত্যাহার করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। রবিবার রাজস্থান কৃষকদের একটি মিছিল দিল্লি অবধি মিছিল করবে। শনিবার ওড়িশা, তেলেঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্যের টোল প্লাজায় বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। টোল আদায় বন্ধ কর দেন কৃষকরা। সোমবার কৃষক আইনের প্রতিবাদে অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।