জঙ্গি হানার আশঙ্কা ! কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোতে সতর্ক থাকার বার্তা প্রশাসনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বিঘ্নে কেটেছে দুর্গাপুজো (durgapujo)। এবার আসছে কালীপুজো (Kalipujo)ও জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Pujo)। বাঙালি (Bangali) এখন মেতে উৎসবের মধ্যেই। কিন্তু এই উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালন করা হয় তা দেখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিল নবান্ন (Nabanna)।

শনিবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোতে খুবই দায়িত্ব সহকারে ও সজাগ থেকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। কোনও প্রকার অশান্তি কিংবা উপদ্রবকে মাথাচাড়া করতে দেওয়া যাবে না।

নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে,

  • দেশকে অশান্ত করে তুলতে নানা জঙ্গি গোষ্ঠী (Terrorism) ও বিভাজনকামী শক্তিগুলি পুরোপুরি সচেষ্ট।
  • তাই পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner), জেলাশাসক, এব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
  • বড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে সিসিটিভি ও ওয়াচ-টাওয়ার তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
  • পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বিশেষ ভাবে নজরে রাখতে বলা হয়েছে।
  • পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে পুজোর সবরকম ব্যবস্থা করতে হবে।
  • কালীপুজোয় বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে ৫ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে।
  • প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে করতে হবে প্রতিমা নিরঞ্জন।
  • তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজোতে বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর।

উৎসবের মধ্যে সাম্প্রতিক সম্প্রীতি ও শান্তি রক্ষার্থে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নবান্নের তরফে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় নেতা ও পুজো কমিটির সঙ্গে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনায় বসতে পারেন।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি পঞ্চায়েত ও পুরসভাকে নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও করোনাকে মাথায় রেখেই সবকিছু দেখতে হবে। রাজ্যে আপাতত বাড়ছে করোনা। তাই বেশি ভিড় ও লোক সমাগমের দিকে না ঝোঁকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে।

সম্পর্কিত পোস্ট