সপ্তাহের শুরুতেই ভোগান্তির আশঙ্কা , সোমবার থেকে নামছে না ৬০০০ বেসরকারি বাস
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড়ই থাকল বাস সংগঠনগুলি। ভাড়া বাড়ানো ছাড়া তাঁরা কোনও কথাই শুনতে রাজি নয়।
রাজ্য সরকারের তরফে বেসরকারি বাস মালিকদের আনুরোধ করা হয়েছি, মানবিকতার খাতিরে আপনারা পুরোনো ভাড়াতেই বাস চালান, পরিবর্তে বাস পিছু মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভরতুকি ঘোষণা করেছে রাজ্য।
কিন্তু ভরতুকি নিয়ে বাস চালাতে রাজি নয় বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকেরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা যে বর্তমান সময়ে খরচ বেড়েছে অথচ আয় কমছে এই অবস্থায় সরকারের দেওয়া ভরতুকি কোনো সমাধান নয়।বাসভাড়া না বাড়ালে সোমবার থেকে রাস্তায় নামবে না বেসরকারি বাস।
লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেসরকারি বাস চালানোর অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বাস সংগঠনগুলির।
পাশাপাশি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিও সেই লোকসানের বহর চওড়া করছে বলে তারা দাবি করেছে। বাস মালিকদের তরফে এদিন বলা হয়েছে, পুরনো ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী নিয়ে বাস চালালে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।
শহীদদের সেলাম , বয়কট চীনা দ্ৰব্য
আর মুখ্যমন্ত্রী যে অনুদানের কথা বলেছেন তা হিসাব কষলে দেখা যাবে প্রতি দিন পাঁচশ টাকা ঘাটতি মিটবে। তাঁদের প্রশ্ন, বাকি টাকাটা আসবে কোথা থেকে। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার সময় থেকেই সরকারের সঙ্গে বাস মালিক সংগঠনের দর কষাকষি চলছে।
তাদের প্রস্তাবে একটি রেগুলেটরি কমিটিও গঠন হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি বাস বেশি করে চালালেও এট চাপ নেওয়া সম্ভব নয়।
কারণ কলকাতা শহরে মেট্রো না চলা এবং অল্প সংখ্যায় বেসরকারি বাস চলার ফলে পুরো চাপটাই সরকারি বাসের উপর এসে পড়ছে। যদিও সরকারের সঙ্গে আলোচনা পর্বে অনেক বাস মালিক রুটে গাড়ি নামিয়েছিলেন।
কিন্তু এদিন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিদিন ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া বাস মালিকদের আরও বক্তব্য পেট্রোল-ডিজেলের দামও রোজ বাড়ছে।
প্রসঙ্গত গত ২১ দিন ধরে রোজ পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েছে। রবিবার তা থমকেছে বটে তবে কাল আবার বাড়বে না কেউ সে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
জয়েন্ট সিন্ডিকেটের দাবি,তারা সরকারি অনুদানের পরিমান বাড়ানোর দাবি করছেন না।বরং তারা বাসের ভাড়া বাড়িয়ে ক্ষতিপূরণের কথা বলছেন।
যদিও আগেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন,এই মুহূর্তে ভাড়া বৃদ্ধি সরকার অনুমোদন করতে পারবে না। করোনা সংকটের সময়ে সাধারণ মানুষের ওপর অতিরিক্ত ভাড়া না চাপিয়েই সরকারের সমস্যার সমাধান করতে সচেষ্ট হয়েছিল।
কিন্তু এই মুহূর্তে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলো সরকারের এই প্রস্তাবে সম্মত হচ্ছে না।
অধিকাংশ সংগঠনই,ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছে।এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল ফের সরকারের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া জানাবেন বাস মালিকেরা।এই সমস্যা মিটিয়ে আদৌ আগামী কাল থেকে কত পরিমান বাস শহর কলকাতায় নামবে,সেটাই এখন দেখার।বাস মালিকদের এই অবস্থানের ফলে,আগামী কাল থেকে তীব্র ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সাধারণ যাত্রীরা।