JU in fire : একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের মুখে রাজ্যের ‘প্রেস্টিজিয়াস’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার দুপুর ১২:২০ নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির (আইআইসিবি) গবেষণাগারে।

 

Russia-Ukraine war:ইউক্রেন ভাগের আশঙ্কার মধ্যেই রুশ বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে আশার বাণী

সেখানে গবেষণার দরকারে বেশকিছু গ্যাস সিলেন্ডার মজুত করা ছিল। ছিল বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক। দমকল আগুন নেভানোর সময় বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার ফাটতে শুরু করে। ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লাইটিং ডিপার্টমেন্টে আগুন লেগে বহুমূল্য যন্ত্রপাতি ও গবেষণার নথি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

এদিন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির একতলার একটি ল্যাবে আগুন লাগে। সেই সময় গবেষক ও অধ্যাপকরা ওই ল্যাবে কাজ করছিলেন। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র‌ও ছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা কাজ করেনি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন এমন বিধ্বংসী চেহারা নেয় যে গবেষণাগার ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন সকলে।

ওই ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাকি গবেষণাগার থেকেও অধ্যাপক এবং গবেষকরা বেরিয়ে আসেন। বাকি কর্মচারীরাও বাধ্য হন ক্যাম্পাস চত্বর ছাড়তে। কারণ ততক্ষনে আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাসায়নিকে আগুন লেগে ব্যাপক কটু গন্ধ যুক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয়েছিল দমকলে। মুহুর্তের মধ্যে এসে হাজির হয় দমকলের ১০ টি গাড়ি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও ৪ টি দমকলের গাড়িকে আগুন নেভানোর কাজে পাঠানো হয়। ছুটে আসেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।

যে গবেষণাগারে আগুন লেগেছিল সেখানে গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের বেশ কিছু সিলিন্ডার রাখা ছিল। সেগুলো শেষ পর্যন্ত ফাটেনি। গবেষকদের দাবি ওই অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন সিলেন্ডার যদি ফাটত তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতো।

কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর দুটোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিকেলের মধ্যে পুরোপুরি আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশকিছু গবেষণার নথি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট