৮৩ টি কভিড হাসপাতালে ফায়ার অডিটের পর অগ্নি সুরক্ষায় তৎপর দমকল দফতর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিভিন্ন রাজ্যে হাসপাতাল ও সেফহোম গুলিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সতর্ক হল রাজ্য সরকার। রাজ্য জুড়ে থাকা কোভিড হাসপাতাল এবং সেফহোম গুলিকে আগুনের হাত থেকে বাঁচতে দমকল দফতর ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে।

গত আগস্ট মাসে আহমেদাবাদের একটি কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আট জন মারা গিয়েছিল। এরপরই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নির্দেশে ৮৩ টি কোভিড হাসপাতাল ও ১৪৭ টি সেফ হোমের সার্ভে করা হয়।

দেখা গেছে বেশ কয়েকটি জায়গায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার খামতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে দমকল দফতর।

এ বিষয়ে রাজ্যের দমকল দফতরের প্রধান সচিব মনোজ আগরওয়াল বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যে কোভিড হাসপাতাল এবং সেফ হোমগুলিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার ত্রুটি গুলি চিহ্নিত করেছি। আমরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে এ বিষয়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

দমকল দফতরের সূত্রের খবর, কলকাতা, দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনা, উত্তর চব্বিশ-পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ার ২৫ টিরও বেশি হাসপাতালের খামতি মোকাবিলার জন্য কি ব্যবস্থা নিতে হবে তা ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে।

দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও কয়েকটি জেলার রিপোর্ট দফতরে জমা পড়া বাকি। সেগুলো জমা পড়লে শিগগিরই তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে।

এই হাসপাতালগুলের বেশিরভাগেরই ইতিমধ্যে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে গত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়ানোর পর থেকে এগুলিকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/childline-officials-stop-teenage-marriage-due-to-police-intervention/

ফলে এই সব হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা যে একদমই নেই এমন ভাবার কারণ নেই। সামান্য কিছু খামতি কোথাও কোথাও রয়েছে দমকল দফতর সেগুলি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

কিন্তু সেফহোম গুলি কিছু কিছু সাময়িক ভাবে তৈরি করা হয়েছে কভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। বহু ক্ষেত্রে এই গুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খামতি রয়েছে।

রাজ্য সরকার চায়না এই সেফহোম গুলিতে কোন দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আগেভাগেই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই সব পদক্ষেপ নিচ্ছে দমকল দফতর।

দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাজ্য সরকার রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন। সরকার চায়না রোগমুক্তির জন্য হাসপাতাল বা সেফহোমে এসে কোনো দুর্ঘটনার মুখে তাদের পড়তে হোক।

তাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই সমস্ত কভিড হাসপাতাল ও সেফহোম গুলিতে অগ্নি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট