বারাসাতে ওষুধ গোডাউনে আগুন, পুড়ে ছাই প্রায় ৩০ কোটির ওষুধ ও সরঞ্জাম

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ আগুন লাগে বারাসাত হাটখোলার CMOH অফিস লাগোয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ওষুধের গোডাউনে। তাতেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কয়েক কোটি টাকার ওষুধ এবং করোনার কিট।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ভয়াবহ আগুনে মোট ৩০ কোটি টাকার ওষুধ সহ চিকিৎসার সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর পুরোপুরি আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্নের মুখের স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা। ওষুধ ছাড়াও ওই গোডাউনে পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখা ছিল। পুড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যানালাইজার মেশিন।

দমকল সূত্রে খবর, দমকল কর্মী এবং স্থানীয় মানুষদের তৎপরতায় কোভিড ভ্যাকসিন মজুত থাকা পাশের গুদামটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। ফলে ভ্যাকসিন সুরক্ষিত আছে। তবে চিকিৎসক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন আগুনের চড়া তাপে কোভিড ভ্যাকসিনের আদৌ কার্যকারিতা রয়েছে কিনা সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

কুম্ভ ফেরৎ পুন্যার্থীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকার কড়া নির্দেশ প্রশাসনের

প্রসঙ্গত, জেলার সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখান থেকেই ওষুধ সাপ্লাই করা হয়। এই অপূরণীয় ক্ষতির ফলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধের কোনরকম অভাব যাতে না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে।

কিভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো? দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে এসির থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগেছিল ওই গুদামে। তা থেকেই বিধ্বংসী আকার নেয়। শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।

প্রথমে স্থানীয়দের নজরে আসে ওষুধ মজুত করা গোডাউন থেকে ধোঁয়া বেরোনোর বিষয়টি। দাহ্য বস্তু থাকায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। অতি দ্রুত তারাই খবর দেন দমকলে। মোট ১২ টি দমকল ইঞ্জিনের লাগাতার প্রচেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন করোনার ভ্যাকসিন মজুত করা গোডাউনের পাশে জীবনদায়ী ওষুধ মজুত করা গোডাউনের নিরাপত্তা এতটা ঠুনকো হল কিভাবে? একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়েও।

সম্পর্কিত পোস্ট