জিতেন্দ্রকে ফোন ফিরহাদের, কালই বৈঠকের জল্পনা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আসানসোল পুরসভার কাছে পৌঁছায়নি। এমনই অভিযোগ তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যা নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি তৈরি হয়।

সূত্রের খবর, ঠিক তার কিছু পরেই আসানসোল পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ফোন করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার বৈঠকের জল্পনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠকে হওয়ার কথা। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং প্রশান্ত কিশোর।

পুরমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্মার্ট সিটি প্রকল্পে মনোনীত করা হয়েছিল আসানসোলকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে অনুমোদন না পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে আসানসোল পুরসভাকে।

অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফে পুরমন্ত্রী টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানালেও তা পূরণ হয়নি। আর এখন রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে আসানসোলকে।

একইসঙ্গে অভিযোগ, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে কেন্দ্রের দেড় হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে আসানসোল পুরসভাকে। রাজ্য সরকারের পুর দফতরের কারণেই এই টাকা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে দাবী জিতেন্দ্র তিওয়ারির। আসানসোল পুরসভাকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। চিঠিতে রাজ্যের পুরমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন  পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

পাল্টা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতো। জিতেন্দ্র এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ নয়, এভাবে চিঠি পাঠানো ঠি হয়নি। বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে। দল ছেড়ে চলে যেতে চাইলে যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি কথা বলে সমস্যা মেটানো যাবে।

ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র চিঠি দেওয়ার কারণে কারোর যদি বিজেপির সঙ্গে যোগ থাকে, তাহলে তা মিথ্যা। কারণ আমাকে আসানসোলে থেকে কাজের জবাব মানুষকে দিতে হয়। আমি নিজে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করি। আমাকে শেখাতে আসার দরকার নেই। উনিও যতটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা করেন, ততটা শ্রদ্ধা তিনিও করেন বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

তিনি আরও বলেন, এর আগে অনেকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনও চিঠি এভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। এই চিঠিই প্রকাশ্যে আনা হল। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

এরপরেই জিতেন্দ্রকে ফোন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। এমনটাই সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট