Rampurhat Incident: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত শমীকের, পাল্টা খোঁচা ফিরহাদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাট গণহত্যা মামলায় কোলকাতা হাইকোর্ট জানায় যে সিট আর তদন্ত করবে না। রামপুরহাট কাণ্ডের সমস্ত তথ্য এমনকী ধৃত,অভিযুক্ত কিংবা কতজন গ্রেফতার হয়েছেন তাদেরও তুলে দিতে হবে সিবিআই এর হাতে।
এই মামলায় সিবিআই কে তদন্তের ভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে রাজ্যের বিরোধী দলনেতারা সহমত জানিয়েছেন যেমন বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কিংবা রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য,অমিত মালব্য। তবে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত কে তৃণমূলের কিছু নেতা মেনে নিতে পারেন নি। এদের মধ্যে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
সল্টলেক বাসভবনে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য জানান, “শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশ বা সিট গঠনের মাধ্যমে রামপুরহাটের সত্য উদঘাটন করা যাবেনা বলেই পশ্চিমবঙ্গবাসীদের বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানে একথা পরিষ্কার যে তৃণমূল এবং পুলিশ একই পয়সার দু-পিঠ। রামপুরহাটের অধিবাসীদের সঙ্গে পুলিশি বয়ানের কোনো মিল নেই তাই মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। আদালত সম্পূর্ণ ঘটনা দেখে এই মামলা সিবিআই এর সাতে তুলে দেওয়া সমীচীন মনে করেছেন। হাইকোর্টের রায় কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
অপরদিকে আদালতের রায় কে খোঁচা দিয়ে কোলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন যে কোনো মামলার ক্ষেত্রেই পক্ষপাতিত্ব করে না। সিট ( SIT) রামপুরহাট মামলার তদন্ত যথেষ্ট ভালোমতই করছিল। যহএকসময় আদালত সিবিআই কে তোতাপাখি বলেছিল পরে দেখা গিয়েছে বহু মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করলে তার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। সিবিআই কিংবা ইডির মত কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলো দেশের শ্রেষ্ঠ অফিসারদের নিয়ে গঠিত হলেও কেন্দ্রের চাপে পড়ে সেসব সংস্থা ক্রমশ ভোঁতা হয়ে পড়ছে।
তিনি বিরোধী দলনেতাদের দিকেও আঙুল তুলেছেন। বলেছেন,“মুখ্যমন্ত্রী যে কোনো মামলায় যেমন রঙ দেখেন না তেমন বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ছোট আঙারিয়া বা নেতাইয়ের ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পেরেছিলেন?”
যদিও পশ্চিমবঙ্গ হাইকোর্টের নির্দেশে আশাবাদী তবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিরোধের সুর বেজে উঠছে।