শিবির বদল করছেন পাঁচ সাংসদ, বিহার রাজনীতিতে নয়া জল্পনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চরম নাটকীয় পর্ব। অবশেষে লোক জনশক্তি পার্টি ছাড়তে চলেছেন পাঁচ সাংসদ। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। নীতিশ কুমার বনাম চিরাগ পাসোয়ানের ঠান্ডা লড়াইয়ের ফল? পড়শি রাজ্যে তৈরি হচ্ছে নয়া সমীকরণ।লোকসভায় একমাত্র সাংসদ হতে পারেন চিরাগ।
বিহার নির্বাচন থেকেই নীতিশ কুমারের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ছিল চিরাগ পাসোয়ানের। জেডিইউয়ের বিরুদ্ধে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় চিরাগ।দুই দলের মতবিরোধ নিয়ে একটিও বাক্যব্যয় করেনি বিজেপি নেতারা৷ নির্বাচনের ফলাফলে আসন সংখ্যা কমে যায় নীতিশের। দারুণ ফল করে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খব্র, সাংসদ পশুপতি কুমার পারসের নেতৃত্বে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই ৫ সাংসদ৷ শোনা যাচ্ছে কাকা পশুপতির সঙ্গে ভাইপো চিরাগের দুরত্ব তৈরি হয়েছিল আগে থেকেই। খুব কম সময়ই মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছে দু’জনকে। মঙ্গলবার সকালে এলজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত বিহার রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ওই ৫ সাংসদ লোকসভায় নতুন কোনও ব্যক্তিকে দলনেতা হিসাবে প্রতিস্থাপিত করবেন৷
সূত্রের খবর, হাজিপুরের সাংসদ পশুরামক পারসকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার৷ অন্যান্য চার সাংসদ প্রিন্স রাজ, চন্দন সিং, বীনা দেবী এবং মেহবুব আলি কাশেরের সঙ্গে কথা চলছে লালন সিংয়ের খুব শীঘ্রই জেডিইউ শিবিরে শামিল হতে পারেন পাঁচ সাংসদ৷
প্রসঙ্গত, রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যু এবং আসন বন্টন নিয়ে পশুপতির সঙ্গে চিরাগের কলহ নীতিশ কুমারের রাস্তা মসৃণ করে দেয় । দুরত্ব বাড়তে শুরু করে ভাইপো প্রিন্স রাজের সঙ্গেও। একমাত্র বিধায়কের শিবির বদলের পরেই দলের ব্যাটন শক্ত হাতে ধরতে ব্যর্থ হন চিরাগ। দলের নেতাদের সঙ্গে দুরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছিল চিরাগের৷ চিরাগ পাসোয়ানের ঔদ্ধত্য তাঁর দলের ভাঙনের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন এলজেপি নেতারাই৷