ডিভিসি জল ছাড়তেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে

বন্যার মাঝে কী করে করোনার টিকা দেওয়া কর্মসূচি চলবে এটাও চিন্তার কারণ

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: প্রতিবেশি রাজ্য ঝাড়খন্ডে ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া শুরু হয়েছে ডিভিসির ব্যারেজগুলি থেকে। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে আসা জলপ্রবাহ ও ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে বন্যা পরিস্থিতি আরও করুণ হলো।

সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন বন্যার কমলা সর্তকতা জারি করেছে। মাইথন পাঞ্চেত থেকে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার দিকে জলমগ্ন এলাকার সীমা বাড়বে। নিম্ন দামোদর অববাহিকায় ডুবুডুবু।

ডিভিসির জলের তোড়ে হাওড়া ও হুগলির বিস্তির্ণ অঞ্চলে জলমগ্ন পরিস্থিতি আরও করুণ হতে চলেছে। পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলের নিচু এলাকা থেকে এলাকাবাসীদের সরানোর কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। ত্রাণশিবির থেকে দেওয়া হচ্ছে খাবার।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে হুগলীর ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, কোন্নগর এলাকা জলমগ্ন। ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় প্রবল অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। জেলার আরামবাগ, খানাকুল এবং গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা।

টানা বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও বন্যা পরিস্থিতি। কেশপুর- মেদিনীপুর রাজ্য সড়ক জলের তলায়। জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য বীরভূমের বহু এলাকা জলমগ্ন। অজয়, ময়ুরাক্ষীর জলস্তর বাড়ছে। ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলাবাড়ছে মন্দিরে কোপাই নদীর জল ঢুকে পড়েছে।

পূর্ব বর্ধমানের দামোদর ও অজয় নদ সংলগ্ন এলাকায় বন্যা কবলিত অনেক এলাকা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বহু গ্রাম। ভাগীরথী গঙ্গা প্রবল ফুলে উঠছে কাটোয়ার কাছে।

পশ্চিম বর্ধমানে অতি বৃষ্টি ও দামোদর, বরাবরের জল বাড়তে থাকায় ডিভিসি জল ছাড়তে শুরু করেছে এর জেরে জলবন্দি লক্ষ লক্ষ মানুষ। দেখা দিচ্ছে খাদ্যাভাব। বন্যার মাঝে কী করে করোনার টিকা দেওয়া কর্মসূচি চলবে এটাও চিন্তার কারণ।

সম্পর্কিত পোস্ট