ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বার আন্দোলনের চাপে পিছু হঠল মোদী সরকারঃ দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার ঘোষণা করেছেন যে গত বছর পাশ করা তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করা হবে। দেশজুড়ে কৃষকদের বছরব্যাপী বিক্ষোভের পর এই ঘোষণা আসে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মোদী সরকার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোন বিল প্রত্যাহার করল। কৃষি আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সিপিআইএমএল লিবারেশন দলের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য দ্য কোয়ারি কে একান্ত আলাপচারিতায় জানালেন সেকথাই।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের কথায়, “কৃষক আন্দোলনের বড় জয়। গত এক বছর ধরে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন। অন্তত ৭০০ কৃষকদের প্রাণের বিনিময়ে আজকের এই বড় জয় তারা অর্জন করেছেন। যদিও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা অর্থাৎ আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে মোদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট।”
তাঁর কথায়, “এই আন্দোলন নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা। এখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই NRC , CAA ও বেসরকারিকরণ, সম্পত্তি বিক্রি সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার হবে এবং এতে মোদি সরকার আরো ব্যাকফুটে যাবে।”
গোটা দেশের পর এবার রাজ্যের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার
দীপঙ্কর বাবু জানালেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর এটা দ্বিতীয় পিছু হটার ঘটনা। প্রথম ঘটনা ক্ষমতায় থাকাকালীন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের আনা জমি অধিগ্রহণ আইনে (২০১৩ )সংশোধনী আনার জন্য একটি অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরকারকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।তখন কৃষকদের প্রতিবাদের ফলে তারা বাধ্য হয়েছিলেন পিছু হঠতে। এরপর দ্বিতীয় ব্যাকফুটে যাওয়া কৃষি বিল প্রত্যাহার করে।”
তিনি বলেন, “আজ প্রমাণ হয়ে গেল, যত বড়ই স্বৈরাচারী সরকার হোক না কেন, আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা মাথা নত করতে বাধ্য হয়। যতই আইন তৈরি হোক না কেন প্রতিবাদের মাধ্যমে সেই আইনকেও বদলে দেওয়া যায়।”