লাদাখ নিয়ে বৈঠকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক

দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভারতে তখন গভীর রাত। লাদাখ নিয়ে ভারত-চিনের বৈঠক মস্কোর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমানো এবং সীমান্ত সরানো নিয়ে বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। যদিও বৈঠকে কি কি আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেনি দু পক্ষই।

বৃহস্পতিবার মস্কোতে দু দফায় বৈঠক করে ভারত এবং চিন। প্রথম দফার বৈঠকে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও। পরে মুখোমুখি বৈঠক করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই। গত কয়েকমাস ধরে চলা লাদাখের উত্তেজনা নিয়ে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

এর আগে চলতি মাসেই মস্কোতে তিন দিনের সফরে গিয়ে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। কিন্তু তাতেও লাদাখের উত্তেজনার পারদ বিন্দুমাত্র নামেনি।

সূত্রের খবর, বৈঠকে লাদাখ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। সেইসঙ্গে দুই দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তাই দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে হলে সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে হবে চিনকে। বার্তা বিদেশমন্ত্রীর।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/trinamool-works-for-the-people-not-the-politics-of-polarization-partha-chatterjee-education-minister/

গত কয়েকমাস ধরে লাদাখে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তাতে দুই দেশের ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় স্যাটেলাইটে প্যাংগং হ্রদের উত্তরে চিনা সেনার অবস্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে।

জুলাই মাসে ফিঙ্গার ৪ থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও ফের চলতি মাসে সেনা মজুত করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। পাল্টা চিনের তরফে ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস।

অন্যদিকে চিনের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের তরফে জানানো হয়েছে, প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ থেকে ভারত সেনা না সরিয়ে নিলে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে চিন।

চিনকে ভাতে মারতে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতে ব্যান করে দেওয়া হয়েছে একাধিক চিনা এপ। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চিনা কোম্পানিগুলিকে।

চিনা কোম্পানিগুলির বরাত পাওয়া টেন্ডারগুলিকে বাতিল করেছে ভারত সরকার। লাদাখে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।

এসবের কারণে ভারত এবং চিনের সম্পর্কের তিক্ততা কমার জায়গায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দুই বিদেশমন্ত্রকের বৈঠকে লাদাখের পারদ কতটা নামে সেটাই এখন দেখার।

সম্পর্কিত পোস্ট