প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ, শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা বসুর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
শ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় গত রবিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এদিন সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
দ্য কোয়ারি ডেস্ক : প্রাক্তন তৃ্ণমূল সাংসদ, শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা বসু (৮৯) প্রয়াত হয়েছেন, শনিবার সকালে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় গত রবিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এদিন সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
জানা গিয়েছে, অসুস্থ থাকলেও শয্যাশায়ী ছিলেন না কৃষ্ণা বসু।হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।শুক্রবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এদিন সকালে মা-কে দেখতে চান তাঁর দুই ছেলে সুমন্ত্র ও সুগত বসু। তাঁরা সেখানে থাকতেই প্রয়াত হন কৃষ্ণা বসু।\
আরও পড়ুনঃ পুলিশের সামনেই ডাক্তারকে কষিয়ে চড়
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন দুপুর একটা নাগাদ কৃষ্ণা বসুর মরদেহ এলগিন রোডের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বিকেল তিনটে নাগাদ নেতাজী ভবনে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার মেয়্র ফিরহাদ হাকিম জানান, তাঁর দেহ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নেতাজী ভবনে রাখা থাকবে। এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
কৃষ্ণা বসুর জন্ম ওপারবাংলায়, ১৯৩০ সালের ২৬ ডিসেম্বর।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এরপর শিক্ষকতা শুরু করেন।প্রায় ৪০ বছর অধ্যাপনা করেন সিটি কলেজে। অধ্যক্ষও ছিলেন।
টানা তিনবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬, ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯। প্রথমবার কংগ্রেসের হয়ে এবং পরের দুবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন।
রাজনীতির পাশাপাশি একধিক গ্রন্থও রচনা করেন তিনি। নেতাজীর ভাইপো শিশির বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসু ‘অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স’, ‘এমিলি অ্যান্ড সুভাষ’, ‘লস্ট অ্যাড্রেসেস’, ‘চরণরেখা তব’, ‘প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র’, ‘ইতিহাসের সন্ধানে’ গ্রন্থের লেখিকা ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন টুইটারে লিখেছেন, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুর খবরে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। নেতাজী পরিবারের সদস্য হয়ে তিনি ছিলেন, শ্রদ্ধেয় সমাজ সংস্কারক, প্রখ্যাত কবি ও সাহসী শিক্ষাবিদ।
ভারতীয় সমাজ ও বাংলার সংস্কৃতিতে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, তাঁর পুত্র-কন্যা সুমন্ত্র, সুগত ও শর্মিলার মতো তৃণমূল পরিবারেরও মা ছিলেন কৃষ্ণাদি।