রাতের অন্ধকারে রানওয়েতে ঘুরছে শিয়াল, যাত্রী নিরাপত্তার প্রশ্নে সংঘাতে কেন্দ্র-রাজ্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শিয়ালের উপদ্রবে নাজেহাল কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ । হাজারো চেষ্টাতেও কোনোভাবে বিমানবন্দর চত্বরে শিয়ালের দাপাদাপি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে কর্তাদের। শিয়ালের পাল রাতে দল বেঁধে গলা সেধে মাথা ধরাচ্ছে। সেটুকু হলেও মানা যেত। কিন্তু এখন যত্রতত্র হানা দিচ্ছে তারা।

রানওয়েতেও ঢুকে পড়ছে মাঝে মধ্যেই। শিয়ালের এই হানাদারিতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর এই নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই বন্দর কর্তাদের। তাই শিয়াল মারতে বিমান বন্দর রাজ্য বন দপ্তর ও কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু শিয়াল মারতে বা তার অনুমতি দিতে নারাজ বন দপ্তর।

বিমান বন্দর কর্তাদের হিসাব মতো, বিমান বন্দর চত্বরে প্রায় একশো শিয়ালের অবাধ বিচরণ রয়েছে। রাতের বেলায় সাধারণত এদেরকে রানওয়ে চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। কিছুদিন আগে দুটি বিমান অবতরণ করার সময় রানওয়ের কাছে একাধিক শিয়ালের নজরে আসে পাইলটদের। বিমানের পাইলট বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। আর এর পরেই এই সমস্ত শিয়াল এখন তাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।

বাড়িতে বসে হোক উচ্চমাধ্যমিক, নিদান বিশেষজ্ঞ কমিটির

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সমস্ত শিয়াল মারতে বন দফতরের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাইলটদের বিমান রানওয়েতে অবতরণ সময় যদি কোনো শিয়াল উড়ানের কাছে হঠাৎ চলে আসে সেক্ষেত্রে বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে । এমনকি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

সেকারণে এই সমস্ত শিয়াল অবিলম্বে নিধন করা জরুরি বলে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। কলকাতা এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিমান বন্দর চত্বরে শিয়ালের দাপাদাপি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। লক ডাউনের সময় যখন বিমান চলাচল বন্ধ ছিল তখন এই সমস্ত এলাকায় একাধিক শিয়ালকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল।

কর্তাদের মতে বন্দর এলাকায় শিয়ালের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার এদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা যে হয়নি তা নয়। কিন্তু সমস্ত উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই কারণে উড়ানের যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিমানবন্দর চত্বরকে শিয়াল মুক্ত করতে বন দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।

দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পঃ প্রথম দিনেই জমা পড়েছে ২০ হাজারের বেশি আবেদন

রাজ্য বন দপ্তর অবশ্য এই সমস্ত শিয়াল নিধনে কোনো অবস্থাতে অনুমতি দিতে নারাজ। বন দপ্তরের বক্তব্য 1972 সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে কোনোভাবেই শিয়াল নিধন করা যাবেনা। বন দফতরের কর্তাদের কথায়, প্রয়োজনে শিয়াল বন্দর এলাকা থেকে পাকড়াও করে অন্যত্র চালান করা যেতে পারে। কিন্তু এদেরকে প্রাণে মারা যাবেনা।

সম্পর্কিত পোস্ট