ক্ষেতের জমি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি – ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে ‘টাইগার’ নামেই উত্থান চম্পাই সোরেনের
Champai Soren : হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল চম্পইকে। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় পাবেন চম্পই। ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে ‘টাইগার’ নামে পরিচিত চম্পই। হেমন্তের বিদায়ী মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি।
রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ বৃহস্পতিবার জেএমএম নেতা চম্পই সোরেনকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই মতো রাঁচীর রাজভবনের দরবার হলে ঝাড়খণ্ডের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শুক্রবার দুপুর সওয়া ১২টায় শপথ নিলেন চম্পই সোরেন। বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন। তারপর জমি কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপর নিমেষে বদলে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পটভূমিকা।
১৯৯১ সালে সেরাইকেলা আসনে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন চম্পই। এর পর ১৯৯৫ সালে জেএমএমের টিকিটে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে বার বিজেপির পাঁচু টুডুকে পরাজিত করেন তিনি। অবিভক্ত বিহার ভেঙে পৃথক আদিবাসীভূমি ঝাড়খণ্ড গড়ার আন্দোলনে যোগ দেন চম্পই। সেই সময় থেকেই সিংভূমে টাইগার’ নামে পরিচিতি পান তিনি। গোটা সিংভূম অঞ্চলের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা এই চম্পই সোরেন।