রাজনীতি থেকে সংস্কৃতি, জনপ্রিয়তার নয়া দৃষ্টান্ত গড়লেন রাজীব
সহেলী চক্রবর্তী
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গান গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ১৫ অগাষ্ট সকাল হতে না হতেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গানের ট্যাবলো ঘুরছে গোটা বঙ্গে। যা নতুন করে বঙ্গ রাজনীতিতে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
রাজীবের গানে আগেই মুগ্ধ হয়েছে বঙ্গবাসী। এর আগেও চিনা আগ্রাসনে ভারতের প্রায় ২০ জন সেনা শহীদ হয়েছিলেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথমবার বনমন্ত্রীর গানে কার্যত গমগম করে উঠেছিল গোটা বাংলা।
দেশের প্রতি রাজীবেরর শ্রদ্ধার আঁচ গিয়ে পড়েছিল দিল্লিতেও। মুহুর্তের মধ্যে রাজীবের কন্ঠে হিন্দি গানটি ভাইরাল হতে শুরু করে। জল্পনা-তর্ক-বিতর্ক কোনোটাই দমিয়ে রাখতে পারেনি এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে।
তারপর তাঁর কন্ঠে আবৃত্তি বেশ আকৃষ্ট করেছে এ রাজ্যের সংস্কৃতিবান মানুষদের।
স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন থেকেই গোটা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা তাঁর নতুন গানের পোস্টার সম্বলিত ট্যাবলো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
করোনা আবহে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশাত্মবোধক গানটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর অনুগামীরা আজকের দিনেই বিতরণ করেন ছোট বাচ্চাদের মধ্যে চকোলেট। জেলায় জেলায় মানুষদের খাওয়াদাওয়ার-ও ব্যবস্থা করেন তাঁরা।
উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যাবলো এবং গান ঘিরে জনমানসে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত।
বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনো তাঁর মন্ত্রীত্ব সামলানোর অসাধারণ দক্ষতা, কখনো আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন।
আবার রাজ্যবাসী দেখেছে তাঁর মানবিক রুপ একটু অন্যভাবে। কখনো অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানো, আবার কখনো ভবঘুরে মানুষদের পাশে। কখনো অবলা জীবদের নিজে হাতে খাইয়ে দিতেও দেখা গেছে তাঁকে।
শুধুমাত্র রাজনীতি নয়। রাজনীতির ঘেরাটোপের বাইরেও রাজীব একজন আদ্যপান্ত রুচিবান সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ। যতদিন যাচ্ছে ততই তাঁর প্রতি বাংলার মানুষের প্রত্যাশা ক্রমশ বাড়ছে।
রাজনীতিতে নীতিগত লড়াই থাকবেই। কিন্তু তারপরেও বাঙালি হিসাবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার সংস্কৃতিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন তাতে তাঁর প্রতি বাংলার মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা যে বাড়বে তা নিঃসন্দেহে স্পষ্ট।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মুহুর্তে ভারতবর্ষ যখন দ্বিধাবিভক্ত মেরুকরণের রাজনীতিতে তখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গানের মাধ্যমে আপামর দেশবাসীকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করলেন।
এখানেই শেষ নয়। তবে বনদফতর নিয়ে, প্রকৃতি নিয়ে আবারও গান গাইবেন রাজীব। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। তার জন্য আপাত ভাবে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রীসভার মন্ত্রীদের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রুচিবোধ আকৃষ্ট করেছে গোটা বাংলাকে। অতিবড় রাজনৈতিক সমালোচকও অনায়াসে স্বীকার করছেন তা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামীদিনে বঙ্গ রাজনীতির আইকন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।