ট্রেন চালু হলে সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ক্রমশ সুস্থতা বাড়লেও এখনও করোনা সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় নি। এমনকী এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রোজ মৃত্যু হচ্ছে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের। এখনও নিয়মিত আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ।
এমতাবস্থাতেই সাধারণ মানুষের জীবণ-জিবিকার কথা ভেবে, ট্রেন চালাতে বাধ্য হচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রায় আট মাস বাদে ট্রেনের চাকা ঘুরবে এটা সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের হলেও সাবধানী হওয়ার দরকার রয়েছে। কারণ একটু উনিশ-বিশ হলেই সংক্রমণ কিন্তু ভয়াল আকার নিতে পারে।
একেই কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে পারা নামতে শুরু করে দিয়েছে। তারপর সামনেই দীপাবলি। আদালত যতই বাজি পোড়ানো বা তা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক না কেন চোরাগোপ্তা তা বিক্রি ও ফাটানো যে হবেই সেটা পুলিশ প্রশাসনও মেনে নিচ্ছে।
স্বাভাবিক ভাবে সেই বাজির হাত ধরে কিছুটা হলেও বাড়বে দূষণ যা কোভিডে আক্রান্ত মানুষগুলির জীবন আরও বিপন্ন করে তুলবে।
সমস্যা হল লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর দূরত্ববিধি ঠিকমতো না মানলে সংক্রমণ ভয়াল আকার নিতে পারে বলে এখন রীতিমত চিন্তিত চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা।
যদিও প্রশাসন বলছে লোকাল ট্রেন চালু হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। কারশেডে লোকাল ট্রেনের রেকগুলি ভালো করে স্যানিটাউজড করা হবে রোজ।
কিন্তু চলন্ত ট্রেনে ভিড় কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে আর সবাই সামাজিক দূরত্ব বা মাস্কবিধি মেনে চলবে কিনা তা নিয়েই চিন্তিত সবাই।
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যে পরিষেবা চালুর কথা বলা হচ্ছে তাতে লোকাল ট্রেনের প্রতিটি রেকের প্রতিটি কামরায় অর্ধেক আসনে লাল কালি দিয়ে ক্রশ চিহ্ন এঁকে দেওয়া হচ্ছে।
যাতে সেখানে কেউ বসতে না পারেন। কিন্তু জিআরপি থেকে আরপিএফ মায় পুলিশও স্বীকার করছে ট্রেনে ভিড় মানলে আদৌ ওই সব আসন ফাঁকা থাকবে কিনা সন্দেহ। কেউ তা নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তা কয়জন মানবে তা নিয়েও রীতিমত সন্দেহ রয়ে গিয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-situation-has-not-changed-in-48-hours-the-stable-soumitra-chatterjee/
আবার ট্রেন চললে কাকে উঠতে দেওয়া হবে আর কাকে নয় সেই সংক্রান্ত কোনও বিধি না জারি হওয়ায় কার্যত কাউকেই ট্রেনে চড়া থেকে আটকানো যাবে না। আর তাও ৬০০ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালুর বার্তা দেওয়া হলেও ট্রেন প্রতি যে ৬০০০ যাত্রী যাতায়াত করবে না তার দেখবার কেউ থাকবে না।
এই অবস্থায় চিকিত্সকেরা সব থেকে বেশি চিন্তিত কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলা নিয়ে। কারণ দেখা যাচ্ছে রাজ্যে যত সক্রিয় কোভিড কেস থাকছে আর যতজন মারা যাচ্ছেন তার অর্ধেকই কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা আর নদিয়া জেলার বাসিন্দা।
এই চার জেলার মানুষই সব থেকে বেশি সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চেপে কলকাতায় যাতায়াত করেন নিত্যদিন। আর এবারে শিয়ালদা ডিভিশনেও সব থেকে বেশি ট্রেন চালানো হচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর এই চার জেলায় সংক্রমণ কোথায় গিয়ে দাঁরাবে তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই।