গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র গঙ্গারামপুর, মৃত পঞ্চায়েতের সভাপতি সহ ১
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের হাতে গোনা কয়েকদিন বাকী। এরই মাঝে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কখনো বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। কোথাও আবার নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছেন শাসক-বিরোধী কর্মীরা।
আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুরে একটি জমিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা কিছুক্ষণের মধ্যেই সংঘর্ষে পরিণত হয়। চলে গোলাগুলি। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মীর। একজনের মাথায় গুলি লেগেছে। অন্যজন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠীর প্রচুর লোক এসে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি তারা। সেই সংঘর্ষের মাঝে যথেচ্ছ গোলাগুলিও চলে। সঞ্জীত সরকার নামক একটি তৃণমূল কর্মী সেসময় গুলিবিদ্ধ হন। সরাসরি তার মাথায় গুলি লাগে।
https://youtu.be/-oViGlPMruY
তাকে সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম
অন্যদিকে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকার। জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান। তাকেও চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অঞ্চলে বিশাল পুলিশবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গl, দক্ষিণ দিনাজপুরে শাসকশিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব বহুদিনের পুরোনো ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সতর্ক করলেও তাতে লাভ হয়নি। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেও তাতে লাভ হয়নি বিশেষ। এদিনের ঘটনা কার্যত সেটাই প্রমাণ করল।