Gangasagar Mela: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই চলছে কড়া প্রস্তুতি, নজরদারিতে খামতি রাখতে নারাজ প্রশাসন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহেই আগামী মাসে ফের একবার গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি আশঙ্কার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। এমত অবস্থায় মেলায় আসা পূণ্যার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। এই কথা মাথায় রেখেই এবার একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এবার পূণ্যার্থীদের কোভিড পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।করোনা জনিত বিধি-নিষেধের কারণে গত বার গঙ্গাসাগরে ভিড় বেশি হয়নি। তবে এবার কুম্ভমেলা না হওয়ায় মেলায় ৩০ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জেলার প্রশাসনের কর্তারা। তাই মেলার কোথাও যাতে সমস্যা বা বিপত্তি যাতে না হয় তার জন্যই বাড়তি নজরদারি। আর সবটাই নজরদারি চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। গতবার করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের কারণে সংক্রমণের আশঙ্কায় ই-স্নানের ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সে বাবস্থা এবারও চালু থাকছে। তারপরেও সেখানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড় হয়েছিল। এবার করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে রয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক।
বর্ধমানে পুরসভার অডিটে ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিজেপি
ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হয়েছে কোভিড বেড। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আউট্রামঘাট আর গঙ্গাসাগর দ্বীপের মধ্যে ১৩টি হাসপাতালে কোভিড বেড গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স থাকছে পুণ্যার্থীদের জন্য। এর মধ্যে শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের জন্য থাকছে ২৫টি এম্বুলেন্স।
পাশাপাশি, তিনটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।সবমিলিয়ে হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৯৯২টি বেডের ব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্যে বাচ্চাদের জন্য থাকছে ৯২টি বেড। কাকদ্বীপ ও রুদ্রনগর হাসপাতালেও কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করা হবে। এছাড়াও থাকছে কন্ট্রোল রুম।
প্রসঙ্গত, এবার ড্রোনের মাধ্যমে পূণ্যার্থীদের স্নানের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য ২০টি ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ড্রোন একসঙ্গে ১৫০ থেকে ২০০ জন পূণ্যার্থীকে স্নান করাতে পারবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পূণ্যার্থীদের জড় করে ড্রোনের মাধ্যমে তাদের উপর জল ছেটানো হবে। এই পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমানো যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।