মৃতদেহ সৎকার-বিতর্কঃ মানুষের কাছে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী বললেন ধনকর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গড়িয়ায় দাবিদার মৃতদেহ সৎকার নিয়ে রাজভবন সরকারের সংঘাত থামার নাম নেই। শনিবার এই নিয়ে প্রথমে সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর । গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। এমনকী রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর ও কলকাতা পুর প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেন তিনি।
এরপর বিষয়টা নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা। রবিবার ফের একই ঘটনায় রাজ্যকে খোঁচা দিলেন তিনি। ফের এই নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন তিনি।
এদিন সোশ্যাল সাইট ট্যুইটারে লেখেন, মৃতদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভয়ঙ্কর। এই ঘটনা বহুদিন আমাদের তাড়া করবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করুন। এই বর্বরতা মানবতার কলঙ্ক। তিনি আরও লেখেন, ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলা ক্ষমাহীন ভুল। নির্লজ্জভাবে অপমানের পরেও ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এখানেই থেমে যাননি রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, যাঁদের অঙ্গুলি হেলনে এই প্রতিক্রিয়া, তাঁরা কল্পনাও করতে পারছেন না যে, এই অপরাধের জন্য সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ। প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে ভাবুন, মৃত ১৪ জনের মধ্যে যদি কেউ আপনার আত্মীয় হতেন।
তাঁর কথায়, আশা করব, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে যত শীঘ্র সম্ভব বিশদ তথ্য পাব। চেয়ার পার্সন ফিরহাদ হাকিম, আশা করব, এই ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে আপনি আমাকে দ্রুত সমস্ত কিছু জানাবেন। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। তথ্য গোপন করলে ফল হবে মারাত্মক।
এদিন এই ঘটনায় উল্টে রাজ্যপালকে দেশের সবচেয়ে বড় সংবিধান লঙ্ঘনকারী বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাজ্যপাল রাজনৈতিকভাবে একজন দূর্নীতিগ্রস্থ মানুষ।দেশে সবচেয়ে বড় সংবিধান লঙ্ঘনকারী বাংলার রাজ্যপাল। এতবড় সংবিধান লঙ্ঘনকারী দেশে আর কেউ নেই।