গেহলট জটিলতা বাড়াচ্ছেন, সভাপতি নির্বাচন ঘিরে অস্বস্তি বাড়ছে গান্ধিদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দু’দিন আগেও রাহুল গান্ধি না হলে কে সভাপতি হবেন তা নিয়ে থই পাচ্ছিল না কংগ্রেস। কিন্তু শেষ ৩-৪ দিনে পরিস্থিতি বেমালুম বদলে গিয়েছে। গান্ধিরা কেউই সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত হতেই ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’র শীর্ষপদে বসার জন্য একঝাঁক নেতা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। প্রথমে মনে হচ্ছিল গান্ধিদের পক্ষ থেকে অশোক গেহলট ও বিক্ষুব্ধ শিবিরের পক্ষ থেকে শশী থারুর প্রার্থী হবেন। কিন্তু দুই শিবির থেকে আরও দুজনের নাম বৃহস্পতিবার ভেসে উঠেছে।
গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন তিনি সভাপতি পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ শিবিরের আরেক নেতা মনীশ তিওয়ারিও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, রাহুল নিজের মুখে প্রার্থী হচ্ছেন না তা ঘোষণা করলেই আরও এক-দুজন সভাপতির দৌড়ে নাম লেখাতে পারেন।
তবে গান্ধিদের সমর্থন যার উপর থাকবে তাঁর জয় একরকম নিশ্চিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে অশোক গেহলট যদি শেষপর্যন্ত প্রার্থী হন তবে তাঁর জয় একরকম নিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সোনিয়া গান্ধি নিরপেক্ষ অবস্থান নিলে শশী থারুর বাজি মেরে দিতে পারেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
মহাজোটের গাড়ি ভায়া পাটনা টু ১০ জনপথ!
কিন্তু সভাপতি হলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছাড়তে চান না গেহলট। এই নিয়ে তাঁর মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই মরু রাজ্যে ডামাডোল শুরু হয়েছে। শচীন পাইলট শিবির প্রকাশ্যেই তাঁর সমালোচনা করেছে। পাইলট মুখে হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে নেওয়ার কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী পদে না পেলে তিনি আবার বিদ্রোহ করতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
যদিও গেহলটকে সভাপতি পদে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গান্ধিদের একটা অন্য অঙ্ক আছে। মহা গুরুত্বপূর্ণ রাজস্থানের ভোট ২০২৩ সালে। তার আগে গেহলট দলের সভাপতি হলে পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হবেন,এটাই ছিল রাহুল-প্রিয়াঙ্কার অঙ্ক। কিন্তু একসঙ্গে দুটো পদ ধরে রাখার কথা বলে তিনি গান্ধি পরিবারেরই বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।