আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সুত্র বের হোক, শাহিনবাগে মঞ্চ থেকে জানালেন মধ্যস্থতাকারীরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হাজারো প্রতিকূলতা সত্বেও ৬০ দিন পার করেছে দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলন। কিন্তু প্রতিবাদী আগুনের আঁচ এখনও অবধি কমেনি। বরং শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য শাহিনবাগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার উপস্থিত হন সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত দুই মধ্যস্থতাকারী সঞ্জয় হেগড়ে এবং সাধনা রামচন্দ্রণ।

এদিন আন্দোলনকারীদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মধ্যস্থতাকারীরা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সবার কথা শুনে এমন একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হবে যেখানে সারা বিশ্ব মনে রাখবে।

আরও পড়ুনঃ জেটম্যানে চড়ে ভিন্সের নয়া মাইলস্টোন

শুরুতেই সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সংবাদমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চান প্রতিনিধিরা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা মানতে নারাজ। শেষমেশ সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতেই আলোচনা শুরু হয়।

উল্লেখ্য, সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দিল্লির শাহিনবাগে প্রতিবাদী ধর্নায় বসেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা। ক্রমে দিল্লি থেকে গোটা দেশে ছড়ায় এই আন্দোলন। দেশের একাধিক প্রান্তে আন্দোলনে সরব হতে দেখা যায় মহিলাদের। প্রায় ২ মাস ধরে নিজের কোলের শিশুকে নিয়ে আন্দোলন করছেন মহিলারা। এরই মধ্যে শাহিনবাগে এক ২ মাসের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে আদালত।

 

একইসঙ্গে আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষকে। রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন কিভাবে চলতে পারে? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিবাদ মানুষের মৌলিক অধিকার জানায় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু প্রতিবাদের কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হলে তাঁরা যাবেন কোথায়? প্রশ্ন তোলে আদালত। এরপর আদালতের তরফে দুই মধ্যস্থতাকারী সঞ্জয় হেগড়ে এবং সাধনা রামচন্দ্রণকে নিয়োগ করে আদালত।

আরও পড়ুনঃ দারিদ্র ঢাকতে বস্তির সামনে দেওয়াল, উচ্ছেদের নোটিশ ৪৫ পরিবারকে

বুধবার মধ্যস্থতাকারীদের তরফে জানানো হয়, একে একে সকলের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেই সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হবেন তাঁরা। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে ফের উপস্থিত হতে পারেন দুই মধ্যস্থতাকারী। যদিও বিকল্প জায়গায় প্রস্তাব আন্দোলনকারীরা মেনে নেবেন কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি আদালতের তরফে আগামী ২২ তারিখ কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার দিকেও তাকিয়ে দিল্লিবাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট