GTA election :পৃথক রাজ্যের দাবি ছাড়লেন গুরুং, পাহাড়ের বেশিরভাগ দল মমতার প্রস্তাবে রাজি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৈরীর পর বিমল গুরুং হয়ে ওঠেন পাহাড়ের অলিখিত মুখ্যমন্ত্রী। এক দশকেরও বেশি সময়জুড়ে দার্জিলিং পাহাড়ে রাজ্য সরকার নয়, গুরুং ছিলেন শেষ কথা। কিন্তু সময় কখনও এক থাকে না।
West-Bengal assembly: কুংফু-ক্যারাটের প্যাঁচ, বিধানসভার ভিতর বিধায়ক ঠাঙানোর ঐতিহ্য ধরে রাখল বাংলা!
এর মাঝে কাঞ্চনজঙ্ঘা অনেক রোদ-বৃষ্টির খেলা দেখেছে, সমতলে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। আর তার ফাঁকে একসময়ের প্রবল দাপুটে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা এখন দার্জিলিং পাহাড়ে রীতিমতো কোণঠাসা। সদ্যসমাপ্ত দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচনে তাঁদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা মাত্র ৩ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে চূড়ান্ত আপোষের বার্তা দিলেন রোশন। কার্যত নতিস্বীকার করে বললেন, আলাদা রাজ্য নয়, বাংলার মধ্যে থেকেই আমরা আরও বেশি স্বায়ত্তশাসিত অধিকার চাই!
দার্জিলিং সফরের দ্বিতীয় দিন মুখ্যমন্ত্রী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, হামরো পার্টি ও জন আন্দোলন পার্টি পাহাড়ের এই চার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন। বিজেপির শরিক হওয়া জিএনএলএফের সঙ্গে বৈঠকে বসেননি মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে সম্পাদক রোশন গিরি কার্যত পৃথক রাজ্যের দাবি ত্যাগ করেন। তবে তাঁরা যে এখনই জিটিএ নির্বাচন চান না সেটাও বলে এসেছেন রোশন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিমল গুরুংয়ের দলের দাবি, আগে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হোক জিটিএকে, তারপর নির্বাচন হবে।
যদিও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অনীত থাপা, হামরো পার্টির অজয় এডোয়ার্ড, জন আন্দোলন পার্টির হরকা বাহাদুর ছেত্রীরা দ্রুত জিটিএ নির্বাচনের দাবি জানান। তাঁরা সকলেই পাহাড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক পুরসভার নির্বাচনও যাতে সময়ে হয় সেই দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং সফরের প্রথম দিনই জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার মে-জুন মাসের মধ্যে জিটিএর বকেয়া নির্বাচন সেরে ফেলার চেষ্টা করছে। এদিন একমাত্র গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়া পাহাড়ের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। সম্ভবত দলের বেহালদশা বুঝেই গুরুংয়ের দল এক্ষুনি জিটিএ নির্বাচন চাইছে না বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।