অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে লুজিনহো ফেলেইরিও
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রীতিমতো সদলবলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলে এসেছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুজিনহো ফেলেইরিও।বুধবার প্রথমে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন লুইজিনহো।
এরপরই তৃণমূল ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এই যোগদানের দ্বারা তৃণমূল যে কংগ্রেসের ঘরেও বড় আঘাত হানতে সক্ষম হল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিন যোগদান পর্ব চলাকালীন সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বাংলার বাইরে তৃণমূলের যে বিস্তার ঘটছে এটা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বৃহস্পতিবার আরও অনেকে গোয়াতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেবেন বলে জানান তিনি।
এতজনের একসঙ্গে যোগদান যেমন তৃণমূলের শক্তি বাড়াল, তেমনই বাংলার বাইরে তৃণমূলের গুরুত্ব যেমন আরও বাড়ল। বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁদের সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে লুজিনহো ফেলেরিও বলেন আমি ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তার আগে ছাত্র রাজনীতি এবং ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। পরে রাজনীতিতে আসি। আমার মনে হয়েছে রাজনীতিতে এসে মানুষের সেবা করা সম্ভব। সারা দেশ এবং গোয়া কঠিন সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে৷ তা থেকে মুক্তি পেতেই দিদির কাছে আমরা উপস্থিত হয়েছি৷ যাতে গোয়ার পুরাতন গরিমা ধরে রাখা যায়৷
তিনি বলেন, “আমরা চাই দেশের সমস্ত কংগ্রেস দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এনসিপি সহ অন্যান্য দলগুলিকে একই ছাতার তলায় এসে লড়াইয়ের সময় এসে গেছে। সকলকে একজোট হয়ে কেন্দ্র সরকার, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে৷ যার মাধ্যমেই এক নতুন ভোরের সন্ধান মিলতে চলেছে।”
তাঁর কথায়, আমার মনে হয়েছে সারা গোয়ায় পরিবর্তনের সময় এসে গিয়েছে৷ যার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি, স্থাপত্য এবং ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব৷
সোমবারেই কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গোয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ লুজিনহো ফেলেরিও। এরপরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় মমতার সুনাম। মমতা একজন “স্ট্রিট ফাইটার” বলে দাবী করেন তিনি। তখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর তৃণমূল যোগ ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।