রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ রাজ্যপাল, পাল্টা ইস্তফা দেওয়ার কথা জানালো তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যে হিংসার ঘটনা নিয়ে জারি রয়েছে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের তরজা। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে উপস্থিত হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একইসঙ্গে হিংসার ঘটনায় শুক্রবার কোচবিহার জেলা থেকে যে সমস্ত মানুষ অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পর শিলিগুড়ি পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জগদীপ ধনকড়। সেখানে তৃণমূলকে নিশানা করে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। পাল্টা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফা চেয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, রাজ্যজুড়ে যে অরাজকতা চলছে সেকারণে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। রাজ্যের মানুষ ভীত অবস্থায় রয়েছে৷ মানুষ পুলিশকে দেখে ভয় পাচ্ছে। শাসক দলের নেতাদের ভয় পাচ্ছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, আমি কোচবিহারের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের একটাই কথা, যারা আতঙ্ক তৈরি করেছে তাঁরাই এসেছে। ফলে সেখানকার মানুষ আরও আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে।
শুক্রবার জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। রাজ্যপাল তাঁর প্রশাসনিক সফরে কি করে একজন রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে যেতে পারেন? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল৷ রাজ্যপাল পদের অযোগ্য। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
তিনি আরও বলেন, শীতলকুচিতে গিয়ে হিংসার ইন্ধন দিচ্ছেন তিনি। একজন কুখ্যাত সাংসদকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওসিকে চমকাচ্ছেন। দ্রুত বরখাস্ত করা উচিত।
মঙ্গলবার রাজ্যপাল তাঁর একটি টুইটে লেখেন, ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেবেন তিনি। তখনই রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে প্রটোকলের কথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাল্টা চিঠিতে সাংবিধানিক অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷
আরও একবার রাজ্য রাজনীতিতে প্রকট হয়েছে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘর্ষ। যা ঘিরে উত্তপ্ত বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ।