“স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদের অবমাননা করেছেন”, অপমানিত রাজ্যপালের চিঠি বিধানসভার অধ্যক্ষকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এবার রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাতের আজ গিয়ে পড়ল বিধানসভার অন্দরে। রাজ্য বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর হস্তক্ষেপ করছেন। সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে এই মর্মে অভিযোগ করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গ টেনেই পাল্টা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর।
তিনি লিখেছেন এই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের জানতে পেরে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করছেন। তবে এখানেই থামেননি রাজ্যপাল। তিনি আরো যোগ করেছেন বিধানসভায় তার ভাষণের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছিল। যা জরুরি অবস্থার শামিল বলে সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিধানসভার স্পিকারের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি লিখেছেন রাজভবনে কোন বিল পড়ে নেই।
Adherence to constitutional norms is quint essential to democracy & rule of law.
Urged Speaker #WBLA“ to work in togetherness in a harmonious manner to uphold and justify the essence and spirit of the Constitution for ensuring the overall welfare of the people @MamataOfficial. pic.twitter.com/onzI3jjHvY
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 30, 2021
একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। আপনার অভিযোগ সংবিধানের পরিপন্থি। আমি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ করে রাখা হয়। আপনি নিজে উপস্থিত থাকেননি। আমায় অপমান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২২ জুন সারা ভারত স্পিকার সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে নালিশ করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বলে। যা রাজ্যপালের একটি আর ভুক্ত নয় বলেই মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য আগামী ২ জুলাই বিধানসভার অধিবেশন। সেখানেই উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার কথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরার। যদিও রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া সেই ভাষণের খসড়া তাকে পাঠানো হলেও তিনি খুঁত খুঁজে বের করেছিলেন গতবার। ফলে তিনি সেই ভাষণ পাঠ করবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে তা ঠিক আগেই বিধানসভার স্পিকারকে রাজ্যপালের এই চিঠি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সংঘাত আরো বড় আকার নেবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।