বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য উপযুক্ত রাজ্যপাল, কটাক্ষ অধীরের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের রোডম্যাপ ঠিক করতে দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু বাংলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারলেন না প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর না দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে নতুন বিকল্প খুঁজে বের করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যপাল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভালো মুখ হবেন। কড়া আক্রমণ লোকসভার বিরোধী দলনেতার।
কিছুদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর জল্পনা বাড়িয়েছে। এমনিতেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার বিরক্ত প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতারা। রাজ্যপালের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম-কংগ্রেসও। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্যে তা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই এনডিএ ছেড়েছেন বিমল গুরুং। শামিল হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। শীতের আগেই পাহাড়ের রাজনৈতিক রঙ বদল নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এরই মধ্যে রাজ্যপালের একমাসের পাহাড় সফরের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, পাহাড় নিয়ে কামড়াকামড়ি করছেন বিজেপি এবং তৃণমূল। সেই কারণেই পাহাড়ে বিজ্ঞাপন করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “মোদি আর দিদি দার্জিলিং পাহাড়কে ‘রাজনীতির আহার’ বানাচ্ছে। দিদির কথা এবং কাজের মধ্যে ফারাক বাংলার মানুষ দেখছেন, সেদিন বিমল ছিল দিদির চোখে ‘দেশদ্রোহী’ আর এখন দিদির ‘পাহাড়ি দেশপ্রেমিক’”।
ইতিমধ্যেই গুরুংয়ের অবস্থান নিয়ে পাহাড়ের মধ্যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। যদিও মোর্চা দলে গুরুংয়ের আর কোনও জায়গা নেই। নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দেন বিনয় তামাং।
একইসঙ্গে অমিত শাহের দুই দিনের বাংলা সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হননি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ভোটের চমক দিতে রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। দলিতদের ফুসলে তাঁদের ভোট নেওয়ায় আসল লক্ষ্য। ভোটের সময় বড় বড় কথা বলে ভুলে যান দিল্লির নেতারা।