করোনা রোগী ফেরালে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশিকা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনা রোগী ফেরানোর অভিযোগ উঠছিল। এই পরিস্থিতিতে ওই সমস্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানাল স্বাস্থ্য দফতরের।

এদিন স্বাস্থ্যভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে কোভিড রোগীকে ফেরালে অথবা চিকিৎসা পরিষেবায় ঘাটতি থাকলে, নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। এই নিয়ম সরকারি, বেসরকারি – উভয় হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

এদিন যে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাতে জানানো হয়েছে, কোভিড রোগীকে ফেরালে সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত হতে পারে।

এদিকে রোগী ফেরানো ছাড়াও, চিকিৎসা সংক্রান্ত হয়রানি হলে,বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমিশনের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতি সামলাতে এবার সমস্ত কোভিড হাসপাতালে ক্যুইক রেসপন্স টিম তৈরির নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পাঁচজনের দলে থাকবেন একজন অ্যানাস্থেসিস্ট, একজন মেডিক্যাল অফিসার, একজন হাউস স্টাফ, একজন স্নাতকোত্তর পড়ুয়া এবং একজন সিসিইউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স।

ইংল্যান্ড সফরের আগেই করোনায় আক্রান্ত প্রথম সারির ১০ জন পাক ক্রিকেটার

এই ক্যুইক রেসপন্স টিম ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। এদের কাজ হবে, যে কোনও কোভিড রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলে, তাদের চিকিত্সায় সক্রিয় হওয়া। এই দলটিকে দিনে ২ বার রোগীর অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করতে হবে।

আসলে বারবার করে বলা স্বত্বেও অনেক হাসপাতালই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছিল । গত সপ্তাহেই বৈঠকে রোগী প্রত্যাখ্যান নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ।

এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে । এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন।

ডব্লুবিবিএফ , সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম , জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন জানিয়েছে , এই নির্দেশ যদি সত্যি কার্যকরী হয় তবে তাতে অসংখ্য রোগী উপকৃত হবে । তবে সত্যিই এই নির্দেশিকা কার্যকরী হয় কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।

সম্পর্কিত পোস্ট