আত্মনির্ভরতার পথ দেখিয়েছেন গুরুদেবঃ নরেন্দ্র মোদী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে গৌরবময় বাংলার কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়াল ভাষণে মোদী বললেন, ‘ভারতের আত্মসম্মানের জন্য বাংলা প্রাণ দিয়েছে। ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা সহ আরও অনেকে আছেন, তাঁরাই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’
তবে এদিনের অনুষ্ঠানেও আত্মনির্ভর ভারতের কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ টেনে মোদীর বক্তব্য, ‘আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা চালু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই। তবে আত্মনির্ভর ভারতের বিকাশে আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেয় বিশ্বভারতী। আর বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলায় বহু শিল্পী তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা পেতেন।’

বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, ‘পৌষ মেলায় যেসব গরীব শিল্পীরা আসতেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ান। বিশ্ব বাজারে তাঁদের প্রতিভাকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। বিক্রির জন্য তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন। প্রয়োজনে সাহায্য নিন সোশ্যাল মিডিয়ারও। গুরুদেব বলেছিলেন, গান ও সংস্কৃতি ছাড়া রাষ্ট্র বাঁচতে পারে না। তাই তাকে সম্মান করুন।’

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/abhishek-banerjee-going-north-bengal/

বিশ্বভারতীর প্রশংসায় মুখরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিশ্বভারতী দেখিয়ে দেয়, বহু ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও আমরা এক। বিশ্বভারতীর ১০০ বছরের অভিজ্ঞতা ও ১০০ বছরের জ্ঞান রয়েছে। অর্থাত্ আমরা এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করি যাতে আমাদের জ্ঞানের কোনও সীমা না থাকে। গুরুদেব মনে করতেন আমাদের শিক্ষা বেঁধে রাখা উচিত নয়। সেহেতু পড়াশোনা ও শিক্ষার মধ্যে যে পার্থক্য, সেটা গুরুদেবের একটি বাক্যের মাধ্যমেই বোঝানো সম্ভব। গুরুদেব বলতেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত। অর্থাত্ আমরা এমন ব্যবস্থার প্রচলন করি যাতে আমরা মুক্ত হতে পারি। মাথা তুলে চলতে পারি। মনকে ভয় মুক্ত করতে পারি। আজ জাতীয় শিক্ষানীতি এরই ধারক। বিশ্বভারতীর এই নীতি প্রয়োগে অনেক বড় ভূমিকা আছে।’

গুজরাতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘গুরুদেবের বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গুজরাটের আমেদাবাদে ছিলেন। সেখানে মাঝেমধ্যেই যেতেন গুরুদেব। গুজরাতের সংস্কৃতি তাঁর ভাল লাগত। আমদাবাদে থাকাকালীনই তিনি দু’টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন।’

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/trinomul-new-project-duyare-sarkar-new-project-is-duyare-taraka/

যদিও সবশেষে গুরুদেবের কথা দিয়েই বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল। স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল.। দ্বার খোল।’এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকরাও।

সম্পর্কিত পোস্ট