মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলালের সভার আগে কৃষকদের সঙ্গে হরিয়ানা পুলিশের সংঘর্ষ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের কৃষি আইনের ফায়দা বোঝাতে কারনালের একটি গ্রামে উপস্থিত হওয়ার আগে রণক্ষেত্র এলাকা। আন্দোলনকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা পুলিশের। একটি ভিডিও ফুটেজে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। কেমলা গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করায় কৃষকদের জলকামান দিয়ে আটকানোর চেষ্টা পুলিশের। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের উপস্থিতির আগে মোতায়েন বিরাট পুলিশ বাহিনী।
কৃষি আইনের বিরোধিতায় আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা। গত বছরের নভেম্বরে দিল্লি উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এমনকি টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করতে দেখা যায়। টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
शर्म कीजिए खट्टर साहेब।
जब आप किसान महापंचायत कर रहे हैं तो वहाँ आने से किसानों को ही रोकने का मतलब क्या है?
मतलब साफ़ है-आपको किसानों से सरोकार न होकर केवल इवेंटबाजी से मतलब है।
याद रखिए, यही हाल रहा तो बिना पुलिस के आपका घर से निकलना नामुमकिन हो जाएगा।
काले क़ानून वापस लें। pic.twitter.com/SllwV6CjFy
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) January 10, 2021
একদিকে যখন এক মাসের বেশী সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে প্রবল ঠান্ডার মধ্যে আন্দোলন করে চলেছেন কৃষকরা। রবিবার সিঙ্ঘু বর্ডারে আত্মহত্যা করেছেন এক কৃষক। ৪০ বছরের অমরেন্দ্র সিংহ পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিবের বাসিন্দা। সরকার কৃষকদের দাবী না শোনার জন্যই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন অমরিন্দ। দাবী কৃষকদের। তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, সরকারের সুর নরম করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি।
বিষ খাওয়ার পর অমরিন্দকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অমরিন্দরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/no-result-on-eight-round-talk-next-will-be-on-15-januray/
অন্যদিকে কৃষক আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি নেতারা। তারই একটি কর্মসুচী উপলক্ষে কারনালের একটি গ্রামে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের। এর আগেও একই জায়গায় কৃষি আইনের সমর্থনে সভা করতে উপস্থিত হন হরিয়ানার মুখ্য্যমন্ত্রী। কিন্তু কৃষকরা তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তখনই গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান তিনি।
এর মাঝে আন্দোলনের ইতি টানতে একটানা ৮ দফার বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু কোনও সমাধানসুত্র মেলেনি। আইন প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় থেকেছেন কৃষকরা। পাল্টা আইন প্রত্যাহারের যেতে নারাজ কেন্দ্র। ১৫ জানুয়ারি আরও একদফার বৈঠকে বসতে চলেছে দুই পক্ষ। সমাধান না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের টনক নাড়াতে চাইছে কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি দিল্লির মধ্যেই ট্রাক্টর মিছিলের ঘোষণা করেছেন কৃষকরা।