মমতা কি দলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন? সিপিএমের বুকস্টলে হামলার অন্য ব্যখ্যা খোঁজা মুশকিল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র রাসবিহারী মোড়ের কাছে সিপিএমের শারদীয় বুকস্টলে হামলার ঘটনা এবং তার প্রতিবাদ করতে এসে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতার হওয়াকে কেন্দ্র করে পুজোর মধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
কিন্তু শুধু রাসবিহারী নয়, ভাঙড়, হাওড়া, কোচবিহার জেলায় জেলায় সিপিএমের বুকস্টল ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, বই পুড়িয়ে দিচ্ছে। তবে লক্ষ্যণীয়ভাবে এই হামলায় ভয় না পেয়ে পাল্টা প্রতিরোধ করছে দলের নেতা-কর্মীরা। তা করতে গিয়েই রাসবিহারীর ঝামেলা বাঁধে।
এই সব কটি ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে শাসক দলের নেতাদের প্রতিক্রিয়া দেখলে বোঝা যাচ্ছে অভিযোগ নয়, তাদের সাঙ্গপাঙ্গরাই এতে জড়িত! নাহলে কুণাল ঘোষ হঠাৎ বলবেন কেন, “ওরা পুজোয় বিশ্বাস করে না, বইয়ের স্টল দেবে কেন?”
এই মন্তব্যে বিস্মিত হবেন নাকি ক্রুব্ধ সে আপনার ব্যাপারে। তবে আগ বাড়িয়ে সিপিএমের স্টল দেওয়ার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার উদ্দশ্য বুঝতে বোধহয় খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ এমন করছে কেন তৃণমূল?
উৎসবের আলোয় রঙিন শহরে বেমানান ওরা ‘অন্য আলোর’ প্রতীক্ষায়
রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির পর সর্বস্তরের মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। হয়তো তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বুঝছেন পায়ের তলার মাটি আলগা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নেতারাও ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে সাবধানী হয়ে উঠেছেন। ফলে কর্মীদের পকেটে ভালোমতো টান পড়ছে বলে অনেকের ধারণা।
সেই আক্রোশ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো সিপিএমকে নিশানা করে বসছে। কিন্তু এতে যে দলের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হচ্ছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোই বোঝেন। তিনি এইসব করতে বলেছেন বলে মনেও হয় না। তবু তাঁর বাড়ির সামনে রাসবিহারীর মতো জায়গায় এই ঘটনা ঘটল কী করে?
তবে কী টাকার যোগানে সমস্যা হতেই দলের কর্মীরা শীর্ষ নেতৃত্বের কথাও শুনছে না? মমতাও কী অসহায়?