বনসহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি করেছে, বিজেপিতে গিয়ে বড় বড় কথা বলছে- মমতার নিশানায় রাজীব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গোটা রাজ্য জুড়ে নির্বাচনের প্রচার জোরকদমে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবারে বাড়তি নজর দিচ্ছেন তিনি উত্তরবঙ্গে।

চা শ্রমিক থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের মানুষদের নানান সুযোগ-সুবিধা সবকিছুকে নজরে রেখেই রীতিমতো কল্পতরুর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের প্রাকমুহুর্তে যারা দল ত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা থেকে বাদ যাননি তারাও।

কয়লা পাচার কান্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝির আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

সরাসরি আজ নাম না করে আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে আক্রমণ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “একটি ছেলে এতদিন আমাদের সঙ্গে ছিল। সে বন সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর কারসাজি করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে এই বিষয়ে। রাজ্য সরকার তদন্ত শুরু করেছে। ও চুরি করে বিজেপিতে গিয়ে বড় বড় কথা বলছে। বিজেপি ওয়াশিং মেশিন। এতে কোনো লাভ হবে না।”

পাল্টা বিজেপির মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কারসাজি করেই থাকেন বন সহায়ক পদ নিয়ে তাহলে এতদিন মাননীয়া বলেননি কেন? তাহলে তখন তদন্তটা হয়নি কেন? আর যদি উনি চুরি করেই থাকেন তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম কেন বারবার হাতে-পায়ে ধরে ওনাকে দলে থেকে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন? এসব ভাঁওতাবাজি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আর মেনে নেবে না। তারা সকলেই সব বুঝতে পারছে।

এ বিষয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ফোন করেছিল thequiry । তিনি জানান আজ হুগলিতে জনসভা রয়েছে তার সেই মঞ্চ থেকেই মাননীয়ার প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের মতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ ধোপে টিকবে না। কারণ রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির মাঝে দাঁড়িয়ে একমাত্র রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ব্যক্তি যাকে নিয়ে ১০ বছরে একটা অভিযোগ করতে পারেননি বিরোধীরা।

স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে এক সময় ঘোরাফেরা করতেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে স্পষ্টবক্তা রাজীব দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক বার সরব হয়ে ওঠেন। সেচদপ্তরে থাকাকালীন ছদ্মবেশে বালি পাচারকারীদের হাতে নাতে ধরেছিলেন।

বিজেপির রথযাত্রা বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের

বিভিন্ন সময় দপ্তরের বিভিন্ন কাজে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশংসিত হয়েছেন। বন সহায়ক পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল আগেই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যারাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন তাদেরকেই কোনো না কোনোভাবে হেনস্থার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল। অন্তত এমনটাই অভিযোগ তুলছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া সদ্য নেতাকর্মীরা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলা তারই একটি অংশ।

তারাও চান তদন্ত হোক তাহলেই দুধ আর জলের ফারাকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন দেখার মাননীয়ার তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কি জবাব দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট