টিকার কালোবাজারি রুখতে কঠোর স্বাস্থ্য দপ্তর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের টিকা কেন্দ্রগুলিতে মানুষের ভিড় কমাতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। কোন কোনোও টিকাকেন্দ্রে একসঙ্গে ২০০ জনের বেশি জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না বলে ওই নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কোন টিকা কেন্দ্রের আয়তন ছোট হলে প্রয়োজনে ভিড় কমাতে আশেপাশের স্কুল বাড়িগুলোকে টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। সরকারি সংস্থার জায়গা ছাড়া অন্য কোন রকম জায়গা টিকাকরণের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলেও নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে যদি এমন কোন জায়গায় সরকারি টিকা করণের কাজ চলে তা অবিলম্বে বন্ধ করতেও স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টিকা কেন্দ্র বদল হলে তা ব্যাপক আকারে প্রচার করতে হবে। টিকার কালোবাজারি আটকাতে ব্লক স্তরে নজরদারি করার কথা বলা হয়েছে।, প্রতিটি ব্লকে দৈনিক কত সংখ্যক টিকা প্রয়োজন হচ্ছে এবং তা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে কিনা তার জন্য জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

পুজোর ছুটির পরই উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খবর কালীঘাট সূত্রে

তার জন্য ব্লক,গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ড স্তরে নিয়মিত মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের জন্য কুপন শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিক,আশা কর্মীরাই দেবে। টিকা করণের অন্তত দু-তিন দিন আগে কুপন দিতে হবে।

কোনভাবেই দিনের দিন কুপন দেওয়া যাবে না। হাতে কত সংখ্যক টিকার ডোজ মজুদ আছে তার ওপর ভিত্তি করেই কুপন বন্টন করতে বলা হয়েছে। টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে অন্তত একদিনের টিকা এবং সিরিঞ্জের স্টক রাখতে হবে, যাতে নির্ধারিত দিনে টিকা নিতে গিয়ে মানুষকে ফিরে আসতে না হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট