বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রায় ৪৮ ঘন্টা আগেই বাংলার আকাশ থেকে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ। তার জেরে বৃষ্টি বন্ধ হ্যে গিয়েছে বাংলায়। শনিবার সকাল থেকেই তার জেরে বাড়ছিল আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি যা রবিবার কার্যত তুঙ্গে উঠেছে।
কিন্তু দক্ষিনবঙ্গে নতুন করে আর ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে উত্তরবঙ্গের বুকে এদিন থেকে আবারও শুরু হতে চলেছে ভারী বৃষ্টি যা চলবে বুধবার পর্যন্ত।
এর জেরে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে দিয়েছে। আবার বাংলার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় থাকায় মঙ্গলবার দক্ষিনবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা বিকানির থেকে সুস্পষ্ট নিম্নচাপের মধ্যে দিয়ে ঝাঁসি, জামশেদপুর, বালাসোর হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। এরই জেরে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘন্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলায়। এই পাঁচ জেলাতেই অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা থাকছে৷ পারে। মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে।
করোনায় শুধু স্মার্টকার্ডেই চলাচল কলকাতা মেট্রোয়
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে আগামী ৪৮ ঘন্টায়।
কিন্তু মঙ্গলবার দক্ষিনবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়াম পুরুলিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে দু এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে।
কলকাতায় এদিন আংশিক মেঘলা আকাশের পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি কার্যত তুঙ্গে উঠেছে।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। তবে লাভের ফল এটাই যে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা পুবালি হাওয়ার দাপট বাড়বে দক্ষিনবঙ্গে। এই পুবালী হাওয়্র জেরেই বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গ ও সিকিম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও।