বাড়িতে অসহায় মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে, কান্নার আর্তনাদ মইদুলের পরিবারে

দ্য কোয়ারি ওয়েওবডেস্কঃ কর্মসংস্থান সহ একাধিক দাবীতে ১১ নভেম্বর বাম-কংগ্রেস সহ ১০ টি ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় বছর ৩০ এর ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। ঘটনায় শোকাহত মইদুলের পরিবার।

বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা মইদুল। এলাকার ডিওয়াইএফআই ইউনিটের সম্পাদক ছিলেন মইদুল। পরিবারে রয়েছেন তাঁর মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে। পরিবারে একমাত্র আর্থিক উপার্জন করতেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থেকেও মইদুলের মুখে শোনা গিয়েছিল একবার দুই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চায় মইদুল।

সোমবার মইদুলের মৃত্যু উস্কে দিচ্ছে আট বছর আগে বাম ছাত্র নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর ঘটনা। ২০১৩ সালের ২ রা এপ্রিল রাণী রাসমনী রোডে পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয় সুদীপ্তর। এখনও অবধি তাঁর মৃত্যুর বিচার মেলেনি।

আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযানে জখম বাম নেতার মৃত্যু, বৃহত্তর প্রতিবাদের হুঁশিয়ারী SFI-র

আট বছর একই ঘটনা রাজপথে। অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন মইদুল। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পেশায় অটোচালকের মৃত্যুর ঘটনায় সারা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন বামেরা। সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে মইদুলকে। একইসঙ্গে ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি।

সম্পর্কিত পোস্ট