হেমতাবাদের ভরসা ‘করোনা যোদ্ধা’ সেলিনাকে, একাই এগিয়ে আসছেন মানুষের পাশে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিড যোদ্ধা সেলিনা খাতুনকে দ্বিতীয়বারের জন্য কোভিড যোদ্ধা হিসেবে পুরস্কৃত করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্ল্যানী। হেমতাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে মহিলা অ্যাম্বুলেন্স চালক সেলিনা খাতুনের সঙ্গে দেখা করেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।

তার হাতে কোভিড যোদ্ধা হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়ে পুরস্কৃত করেন তিনি। বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন হেমতাবাদ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেলিনা খাতুন যেভাবে কোভিড রোগীদেরকে নিয়ে তার অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিষেবা দিয়ে আসছেন তাকে কুর্নিশ জানাই।

২০২০ সাল থেকে করোনা অবোহের সময়কাল থেকে সেলিনা করোনা রোগীদের পরিষেবা দিয়ে আসছিলেন। সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই বিধায়ক প্রথমবার এসেই সেলিনাকে পুরস্কৃত করেছেন। এবারও করোনার সময় তাকে আবার পুরস্কৃত করলেন।

অন্যদিকে চিকিৎসক রাহুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, হেমতাবাদের সেলিনা গোটা পশ্চিমবাংলার একজন মহিলা নক্ষত্র। করোনার সময় সবাই যখন আতঙ্কে  তখন সেলিনার মতন একজন মহিলা কোভিড পরিষেবা দিয়ে আসছেন তা প্রশংসনীয়। পাশাপাশি তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য পুরস্কৃত করার জন্য রায়গঞ্জের বিধায়ক যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাও প্রশংসনীয় বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী তার পাশে দাঁড়ানোয় খুব খুশি সেলিনা। সেলিনা বলেন, গতবছর করোনার সময় তার পারিবারিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। সেই সময়ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

করোনা চিকিৎসায় অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগে আটটি নার্সিংহোমকে শোকজ

উল্লেখ্য, করোনার ভয়ে সবাই যখন পিছিয়ে যাচ্ছেন, তথখনি একদম একা এগিয়ে এসেছিলেন সেলিনা খাতুন। এলাকার সমস্ত করোনা-আক্রান্তকে তিনি একাই তাঁর অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। তার ‘খেসারত’ও দিতে হয়েছে। একা সেলিনাকে নয়, তাঁর গোটা পরিবারকে।

ভয়াবহ সেই সময়টা কাটিয়ে এখন একটু স্বস্তি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ফের ভাবাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের এই তরুণীকে। ২০১৮ সাল থেকে সংসারের স্টিয়ারিং তাঁর হাতে। সেইসঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের স্টিয়ারিংও।

দিনদুপুর তো বটেই রাতবিরেতেও হেমতাবাদের একমাত্র ভরসা এই সেলিনা। গোটা করোনাকালে একমাত্র তিনিই অ্যাম্বুলেন্সে করে হেমতাবাদের আক্রান্তদের নিয়ে গিয়েছেন জেলাসদরে। করোনা হাসপাতাল থেকে আইসোলেশন সেন্টার। সুস্থ হওয়ার পর সেলিনার অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁরা ফিরে এসেছেন নিজেদের গ্রামে। তবে ৭ জনকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি তিনি। সেই দুঃখও থেকে গিয়েছে সেলিনার।

সম্পর্কিত পোস্ট