Abhishek Banerjee : হাইকমান্ড কালচার দলীয় গণতন্ত্রকে শেষ করে, কংগ্রেসকে নিয়ে ঠিক কথাই বলেছেন অভিষেক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গোয়া সফরে গিয়ে কংগ্রেসের হাইকমান্ড কালচার নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যে ঠিক বলেছিলেন তা প্রমাণ করে দিলেন গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম।
সোমবার তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে জোট প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু ‘হাইকমান্ডের’ অনিচ্ছার কারণে তা নিয়ে এগোনো সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের হাইকমান্ড বলতে কি তা কমবেশি সকলেই জানেন। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ চিদম্বরমের কথা থেকেই পরিষ্কার কংগ্রেসের অন্দরে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, এখানে গান্ধী পরিবারের ইচ্ছা-অনিচ্ছাই শেষ কথা।
এদিকে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিজের দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট যেকোনও বিষয় নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা করা সম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই একটি গণতান্ত্রিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন।
তা নিয়ে অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো কংগ্রেস নেতাদের বিলাপের কোনও মানে হয় না। আসলে বঙ্গ কংগ্রেসে এখনও যে দু-চারগাছা নেতা আছেন তাঁরা সবটাই বোঝেন। তবু বুকে পাথর চেপে নিজেদের নম্বর বাড়াতে আজও গান্ধী পরিবারের স্তুতি গেয়ে চলেছেন! হয়তবা স্তুতিবাক্য আওড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় তৃণমূলের প্রচারের মূল সুর বেঁধে দিয়েছেন। তাঁর দেখিয়ে দেওয়া লাইনেই বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে তৃণমূল। তারা স্পষ্ট বলেছে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে ঘুরপথে সেই ভোট বিজেপির ভাগে গিয়ে পড়বে। সাম্প্রতিক অতীতের ঘটনাবলী তা প্রমাণ করে।
প্রবল সঙ্কটে থাকা সিপিএমের মাথায় বসবেন মহিলা নেত্রী? জল্পনা তুঙ্গে
২০১৭ এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে জিতিয়েছিল গোয়ার মানুষ। কিন্তু কংগ্রেসের ভিতরে বিজেপির এজেন্ট এতটাই ভরে গিয়েছে যে ধীরে ধীরে ১৫ জন বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে সামিল হন। মাত্র দু’জন বিধায়ক কংগ্রেসে পড়েছিলেন।
এদিকে দলের ভাঙন ঠেকাতে একটুও সক্রিয় হয়নি কংগ্রেস হাইকমান্ড। পাঁচ বছর ধরে রাহুল গান্ধীকে সেভাবে দেখাই যায়নি। ভোট আস্তে একদিনের জন্য সেখান থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি। এই অবস্থায় বিজেপি বিরোধী বিকল্প হিসেবে তৃণমূলের নেতৃত্বাধীন জোটের উপর ধীরে ধীরে আস্থা তৈরি হচ্ছে গোয়ার মানুষের।