ভোট-পরবর্তী হিংসার শুনানিতে যাদবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, পুলিশ কর্তা রশিদ মুনির খানের জবাবদিহি তলব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভোট-পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে সেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে গিয়ে যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

শুক্রবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ কর্তা রশিদ মুনির খানের জবাবদিহি তলব করে বিচারপতির বেঞ্চ। ১৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, রাজ্য সরকার তাদের কোনো তথ্য দেয়নি। তখনই অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, “আপনি বলেছিলেন কমিটির কাছে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করবে রাজ্য। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।”

একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানতে চান “কে কমিটির কাছে রিপোর্ট পেশ করেছেন? আমরা ব্যবস্থা নেবো।” প্রধান  বিচার প্রতি প্রশ্নের উত্তরে কিশোর দত্ত জানান, “আইজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামীম রিপোর্ট দিয়েছিলেন।”

আজ থেকে শুরু অধিবেশন, মন্ত্রিসভার অনুমোদিত ভাষণই পাঠ করবেন তো রাজ্যপাল?

ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনাগুলিকে ক্লাব করে দেখছে আদালত। এর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে মানিকতলায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে হত্যার ঘটনা। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে অভিজিতের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হোক। একইসঙ্গে এদিন হাইকোর্ট বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছে।

প্রত্যেকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে হবে তদন্ত। হাইকোর্টে তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসায় আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে যাদবপুরে মিশনের প্রতিনিধিদের কেন বাধার মুখে পড়তে হলো? রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে শোকজ করা হবে না?

হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আহতদের রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। একইসঙ্গে যেসব অভিযোগ আহতদের বাড়ির লোক করেছে তা নথিভুক্ত করতে হবে। আর যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে বা এখনো পড়ছে তা সম্পূর্ণ জানাতে হবে মানবাধিকার কমিশনকে। সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে।

সম্পর্কিত পোস্ট