‘আমফান দুর্নীতি’-র তদন্তভার ক্যাগের হাতে তুলে দিল হাইকোর্ট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফান ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রের তরফে দেওয়া ১ হাজার কোটি টাকার ত্রানে দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগে বারবার রাজ্য সরকারকে জনসমক্ষে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধী পক্ষের নেতারা।

আমফান সংক্রান্ত একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার সেই তদন্তের দায়িত্বভার কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেলারেল (ক্যাগ) এর হাতে তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণননের বেঞ্চ।

চলতি বছরের মে মাসে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলী সহ দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলা।

আমফানের পর রাজ্য সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হেলিকপ্টার সফরের পর ১ হাজার কোটি টাকা ত্রানের জন্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলের অভিযোগ, ত্রান বন্টনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।

এবিষয়ে হাইকোর্টে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা শুনানির পর ক্যাগের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মামলার অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। কোনও অনিয়ম রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা প্রয়োজন। কেন্দ্রের তরফে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তাই তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ করোনায় নতুন দিশা, প্লাজমা থেরাপিতে সাফল্য বেলেঘাটা আইডির

তদন্তের জন্য ত্রানের টাকা কিভাবে রাজ্যস্তর থেকে ব্লক স্তর থেকে বন্টন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ‘ফাইনান্সিয়াল অডিট’ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

ত্রান বন্টনে নিযুক্ত অফিসারদের ভুমিকা কি ছিল তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছে আদালত।

সেইসঙ্গে গঠন করা হবে পারফরম্যান্স অডিট। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাঁরা টাকা পেয়েছেন কি না সেবিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। অর্থাৎ টাকা সঠিকভাবে বরাদ্দ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য ক্যাগকে তদন্তের এই রোডম্যাপ স্থির করে দেয় আদালত।

এর আগেও আমফান দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী নেতাদের সরব হতে দেখা গিয়েছে। আমফান দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

রাজ্যের একাধিক জেলায় আমফান দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা প্রশাসনিক দফতর ঘেরাও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তাড়াহুড়ো করে টাকা পাঠাতে গিয়ে ভুল হয়ে গিয়েছে”।

সোমবার আদালতের নির্দেশের পর ক্যাগ তদন্তে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে আশাবাদী আইনজীবী।

সম্পর্কিত পোস্ট