হিজাব বিতর্কে সঙ্কটাপন্ন বিজেপিতে খুশির হাওয়া!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুরুটা হয় কর্নাটকের উদুপির এক কলেজ থেকে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। হিজাব বিতর্কের কথা হচ্ছে। মঙ্গলবারই কর্ণাটক হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছে হিজাব ইসলাম ধর্মের কোনও বাধ্যতামূলক অনুষঙ্গ নয়।
আদালতের রায়ে স্পষ্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বারণ করলে ছাত্রীরা হিজাব পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না। এই রায় আসতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছে কর্ণাটক বিজেপি। অন্তর্দ্বন্দ্ব, আমজনতার ক্ষোভ, প্রবল প্রতিষ্ঠানবিরোধী হওয়ায় কর্নাটকে বিজেপির অবস্থা রীতিমতো টালমাটাল। দেশের অন্যত্র তারা জিতলেও কর্নাটকে যেন ক্রমশই পিছু হটছে গেরুয়া শিবির।
কংগ্রেস এবং জেডি(এস) ভাঙিয়ে সরকার গঠন করলেও একের পর এক আঞ্চলিক নির্বাচনে সে রাজ্যে বিজেপির বেহালদশা প্রকট হয়ে উঠেছে। তার উপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদ্দুরাপ্পার অনুগামীরা কী করবে সেই চিন্তায় মাথা খারাপ হওয়ার যোগার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের।
বিধানসভায় বাজেট আলোচনার জবাবী ভাষণে কেন্দ্রকে নিশানা অর্থমন্ত্রীর
এই পরিস্থিতিতে হিজাব বিতর্ক কর্ণাটক বিজেপিকে অনেকটাই অক্সিজেন দিয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের পর ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আন্দোলনকারীরা।
বিজেপি চাইছে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই হিজাব বিতর্ক জিইয়ে থাকুক। সেক্ষেত্রে কর্নাটকের ভোটে তারা সরাসরি মেরুকরণ করতে পারবে। এদিকে মেরুকরণ হয়ে যাওয়া মুসলিম ভোটকেও ভাগ করার উপায় ভেবে রেখেছে বিজেপি।
সম্ভবত তারা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সাহায্য নেবে। মঙ্গলবারই ওয়াইসি জানিয়েছেন কর্নাটকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মিম। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা জানতে পেরেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে কর্নাটক কংগ্রেস।
ইতিমধ্যেই কোন কৌশলে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য কংগ্রেসে। তবে কংগ্রেসেও বিতর্ক কম নেই। রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এই পরিস্থিতিতে হিজাব বিতর্কের শুফল বিজেপির ঝুলিতে যায় কিনা সেটাই দেখার।