জেএনইউ হামলার দায় স্বীকার হিন্দু রক্ষা দলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার দায় স্বীকার করল হিন্দু রক্ষা দল নামে একটি সংগঠন। সোমবার গভীর রাতে দায় স্বীকারের ভিডিও প্রকাশ করে হিন্দু রক্ষা দল। সংগঠনের তরফে ভিডিওতে সাফ জানানো হয়েছে, ৫ জানুয়ারি তাঁদের কর্মীরাই জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে।
সংগঠনের প্রকাশিত ভিডিওতে হিন্দু রক্ষা দলের নেতা পিঙ্কি চৌধুরীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে হিন্দু বিরোধী চিন্তাধারা ক্রমশ বেড়ে উঠেছিল। ক্রমশ বামপন্থীদের আখড়া হয়ে উঠেছিল জেএনইউ। হিন্দু ধর্মকে অপমান করে বামেরা। যা মেনে নেওয়া অসম্ভব। তাই বামপন্থীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ক্যাম্পাসের ভিতরেই হামলা চালায় তাঁরা।
Watch this video.
This guy associated with Hindu Raksha Dal has taken responsibility of JNU attack and said that his organisation will keep doing such attacks in future too if people will speak against Hindu religion.
#JNUTerrorAttack #ABVP_TERRORISTS #JNUattack pic.twitter.com/zWLYrs4Aad
— Md Asif Khan آصِف (@imMAK02) January 6, 2020
শুধুমাত্র জেএনইউ হিন্দু রক্ষা দলের নিশানায় আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে বলে জানায় পিঙ্কি। দেশবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ না হলে সেখানেও হামলা চলতে পারে বলে জানিয়েছে হিন্দু রক্ষা দলের নেতা।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ মুখে কাপড় বেঁধে জওহরলাল নেহেরু ক্যাম্পাসের ভিতর ঢুকে হামলা চালায় ৭০ থেকে ১০০ জন দুষ্কৃতি দল। ঘটনায় আহত হন ৩৪ জন। গুরুতরভাবে আহত হন জেএনইউ ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। ছাত্রদের বাঁচাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে ঘায়েল হন অধ্যপিকা সুচরিতা সেন। তারপর থেকেই আতঙ্কে হোস্টেল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে এবিভিপির দিকে।
ঘটনার দিন দিল্লি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। ৭০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা কিভাবে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, ক্যাম্পাসে আলাদা করে নিরাপত্তাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ৭০ জনের গুণ্ডাবাহিনী হামলা চালাতে সক্ষম হয় তা নিয়ে। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্তার বেশী সময় পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কেন একজনকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হল না?
যদিও বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা পুর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পিছনে সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক এবং পুলিশের মদত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিও সোমবার রাতে নতুন ভিডিও প্রকাশের পর দিল্লি পুলিশ কি পদক্ষেপ নেয়? তার দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।