বসন্তের রঙে মাতলো কলকাতা, হাওড়া
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সকাল হতে হতে না হতেই , রাজ্য জুড়ে বসন্তের রঙে রঙিন হলো সব জেলা। চারিদিকে লাল হলুদ পারের শাড়ি। সুন্দর মুখগুলো যেন আজ আরোও বেশি সুন্দর , রঙিন।
লাল , নীল , সবুজ, গেরুয়া কি নেই রঙের তালিকায়। কচিকাঁচাদের মাথায় আবার গাঁদা ফুল। জেলা হাওড়া নটরাজ নিবেদিত বসন্ত উৎসব, পরিচালনায় মুনমুন চক্রবর্তী।
শুরু হয় প্রভাত ফেরির মাধ্যমে , মন্দিরতলা সংলগ্ন রাস্তার অলিগলি দিয়ে খুদেদের নিয়ে সঙ্গে বড়োদের নিয়ে নটরাজ ইনস্টিটিউটের কর্ণধার মুনমুন চক্রবর্তী শুরু করেন বসন্তের রঙিন পদযাত্রা। সঙ্গে কানে ভেসে আসছে “ওরে গৃহবাসী খোল খোল দ্বার খোল , লাগলো যে দোল…”।
মিষ্টি মুখগুলো সূর্যের আলোয় কত না রঙিন হয়ে উঠেছিল। শুধু ছোটরা নয় , বড়োরাও সামিল আজ রঙিন দিন…
চলুন এবার আপনাদের দেখাই রঙিন পাটুলির ছবি। প্রতিবারের মতো এইবার ও কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা বাপ্পাদিত্ত দাসগুপ্তের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হয়ে গেলো বসন্ত উৎসব ২০২০।
স্বপ্ন উড়ান ( এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ) সামিল থাকলো এই উৎসবে। তাদের হাত ধরেই বিশেষভাবে সংক্ষম মানুষেরা , অনাথ শিশুরা হাজির থাকলো পাটুলি উপনগরীর মাঠে। রঙিন সামিয়ানা , মঞ্চ , সুন্দর মুখগুলো সব মিলিয়ে যেন কলকাতার পাটুলি ব্যতিক্রমী বসন্তের আবহ।
ক্যানভাসে রং তুলির মাধ্যমে ফুটে উঠলো সম্প্রীতির বার্তা। যা স্বয়ং নিজের হাতেই টানলেন বাপ্পাদিত্ত দাসগুপ্ত। ধর্মের কোনো রং হয় না , রঙের কোনো ও ধর্ম হয় না। এই বার্তাই এদিন পাটুলির বসন্ত উৎসব থেকে দেওয়া হয়।
এদিন অঞ্চলের মানুষেরা বাপাদিত্ত কে নিজেদের বসন্তের শুভেচ্ছা যেমন জানালেন , তেমনিই ভালোবাসার রঙিন আবিরে রাঙিয়ে দিলো তাদের পৌরপিতাকে।
বিশেষভাবে সক্ষম যারা , তারাও এদিন বসন্তের রঙিন আবহে তাদের নৃত্য পরিবেশন করলো। এদিন এই অনুষ্ঠানে সংবেদন ও তাদের তরফে পৌরপিতার হাতে তাদের ছোট্ট ভালোবাসা তুলে দেয়. স্বপ্ন উড়ান।
সভাপতি রোহিত সাহা এর প্রচেষ্টায় প্রতিবারের মতো এইবার ও বিশেষভাবে সংক্ষম ও অনাথ শিশুদের সঙ্গে নিয়ে এই অনুষ্ঠান সকলের মন ছুঁয়ে গেলো।
শেষে উৎসব প্রেমী , সাংস্কৃতিক প্রেমী বাপ্পাদিত্ত দাসগুপ্ত কে সঙ্গে নিয়ে হলো ফটো সেশন। সব মিলিয়ে এক অন্য বসন্তের ছবি দেখলো শহর কোলকাতা।