বন্‌ধের মাঝেই বৈঠকের জন্য কৃষক নেতৃত্বকে ডাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ দফার বৈঠকের পর বুধবার ফের বৈঠকের কথা ছিল কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে। তার আগে মঙ্গলবার কৃষকদের বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশজুড়ে কৃষকদের ডাকা বন্‌ধের মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়িত জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ অমিত শাহ কৃষকদের বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একাধিক কৃষক সংগঠনের নেতারা বন্‌ধের সমর্থনে উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরাও এদিনের বৈঠকে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/left-mla-bating-in-kolkata/

 

গত পাঁচ দফায় দীর্ঘ সময় ধরে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক ক্রেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া কোনো প্রস্তাবে রাজি হয়নি কৃষকরা। বরং তিন নতুন আইন প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় থেকেছেন তাঁরা।

তবুও একাধিকবার কৃষি মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, সরকারের কোনও অহংকারের জিনিস নেই। কৃষকরা চাইলেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি সরকার। কিন্তু কৃষকরা নিজেদের দাবী থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি।

আন্দোলনস্থলেই মৃত্যু আরও দুই কৃষকের। দিল্লি হরিয়ানা টিকরি সীমানায় ওই দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ভোররাতের পর মঙ্গলবার সকালে আরও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, হৃদরোগে প্রথম জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজনের মৃত্যু অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হয়েছে। এমনটাই ধারণা পুলিশের। প্রথম জনের নাম মেওয়া সিং। ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ২৬ নভেম্বর আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তিনি।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে ৩২ বছরের অজয় মুরের মৃত্যু হয়েছে। অজয় মুরের কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তার জন্য দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে ৯ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

লক্ষ লক্ষ কৃষক আন্দলনের উত্তাপ এই মুহুর্তে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকদের সমর্থনে একজোট হয়েছে ১৬ টি রাজনৈতিক দল। কৃষকদের সমর্থনে এদিন একাধিক রাজ্যে চলে আন্দোলন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ সরব হন একাধিক সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত পোস্ট