করোনার জের, নজরে হুগলি জেলা, নয়া নির্দেশিকা জারি জেলাশাসকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হুগলি জেলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনের তার প্রমান পাওয়া গিয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর একটি ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে।সেদিনই হুগলি জেলার জেলাশাসককে জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান।
এরপরই বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবার হুগলি জেলা নিয়েও কড়া সতর্কতা জারি হল।হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাও সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।বিজ্ঞপ্তিতে ‘কনটেনমেন্ট জোন’-এর তালিকাও দেওয়া হয়েছে জেলাকে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর পুরসভা এবং চন্দননগর কর্পোরেশনের সমস্ত ওয়ার্ডকে এই বিশেষ জোনে রাখা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই বিশেষ জোনে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও চণ্ডীতলার কুমিরমোড়া, হরিপুর, ভগবতীপুর, গরলগাছা, বরিজহাটি, মুন্ডুলিকা, কোতলপুর, দিলাকাশ, রসিদপুর, রাজবলহাটকেও ‘কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় করোনা আক্রান্ত ৩ পুলিশকর্মী
সোমবার থেকেই এই জেলায় ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খোলার কথা থাকলেও নয় এই নির্দেশিকায় তা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
‘কনটেনমেন্ট জোন’-এ কোনও কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি অফিস, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। জরুরি বিভাগগুলি যেমন চালু ছিল তেমন থাকবে। এদিকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়।
এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে কড়া মনোভাব নিতে চলেছে হুগলি জেলা পুলিশ ও চন্দননগর কমিশনারেটের
অন্তর্ভুক্ত সমস্ত থানা অঞ্চল গুলি।অন্য জেলা থেকে এই জেলায় প্রবেশে অথবা জেলার বাইরে গেলে বিশেষ অনুমতি লাগবে।
নাগরিকরা বাড়ির বাইরে বেরোলে মাক্স পরতেই হবে,এবং তাদের গতিবিধি ওপর নজরে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুলিশ।
সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি হুগলি জেলা যে ভাবাচ্ছে তা জেলাশাসকের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ পেলো।