নজরে হাওড়া, জেলা জুড়ে চলছে কড়া নজরদারি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬১১। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের।
২৭ এপ্রিল সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪৯। মৃত ২০। সুস্থ হয়েছেন ১০৫ জন।
লকডাউনের মাঝেই আংশিক দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কিন্তু হটস্পট জোনে কোনও দোকান খোলা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।
রাজ্যে কোভিড-১৯ এর থাবায় সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে হাওড়া জেলার মানুষ। তাই শুরু থেকে একেবারে কড়া নজরদারি রয়েছে এই জেলাতে।
সোমবার থেকে হাওড়া শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে রয়েছে কড়া নজরদারি। শহরাঞ্চলে কমপ্লিট লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এলাকার মানুষ বাড়ি থেকে যাতে বের না হয় তার জন্য বাড়ি বাড়ি কাঁচা আনাজের ফেরির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
একইসঙ্গে গ্রামাঞ্চলে একই ছবি ধরা পড়েছে। উলুবেড়িয়া সহ বিস্তির্ণ গ্রামাঞ্চল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বাজার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
করোনা আপডেটঃ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর
শনিবার হাওড়া জেলা পরিদর্শনে বের হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। হাওড়া শহরের সালকিয়া, গোলাবাড়ি সহ একাধিক জায়গা ঘুরে দেখে প্রতিনিধি দল। এদিন কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিল না রাজ্যের কোনও আধিকারিক।
তাই লকডাউন পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পাশাপশি ছবি তোলে প্রতিনিধি দল। হাওড়া জেলায় লকডাউন পরিস্থিতি কেমন রয়েছে সে বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করতেই উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা।
রবিবার সকাল থেকেই শুরু করে সারা দিন হাওড়া শহরের প্রধান রাস্তায় লোকজন বিশেষ দেখা যায়নি। সোমাবারেও হাওড়া পুর এলাকাগুলিতে একই ছবি ধরা পড়ে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কম থাকায় পুলিশ এর পাহাড়া নজরে আসেনি।
কিন্তু গ্রামাঞ্চলের ভিতরের দিকে ভিড় চোখে পড়ার মত। জায়গায় জায়গায় ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে কঠোর হতে হচ্ছে পুলিশকে। সিল করে দেওয়া হয়েছে হুগলী ও মেদিনীপুর জেলা সংলগ্ন এলাকাগুলি। পায়ে হেটেও কোনও ব্যক্তি যাতে জেলার এক্তিয়ারের বাইরে না যেতে পারে সেদিকে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন।