বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে বিপুল সাফল্য, ৫৩ লক্ষ ছাড়িয়ে বাড়ছে বিমাকারীর সংখ্যা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চলতি খরিফ মরশুমে এপর্যন্ত রাজ্যের ৫৩ লক্ষ্যের বেশি কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ৮ লক্ষেরও বেশি। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন ধানের জন্য শস্যবিমার আবেদন করার সময়সীমা বুধবার শেষ হয়েছে। ভুট্টার বিমা করার সময়সীমা শেষ হয়ছে ৩১ জুলাই। চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে মোট বিমাকারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টা এই দু’টি ফসলের জন্য রাজ্য সরকারের শস্যবিমা প্রকল্পের সুযোগ মেলে।এই প্রকল্পের প্রিমিয়ামের সম্পূর্ন খরচ রাজ্য সরকার বহন করে। ব্যাঙ্ক বা সমবায় সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করতে গেলে বিমা করা বাধ্যতামূলক। আগে ঋণের জন্য যে অর্থ দেওয়া হতো তার মধ্যে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা নেওয়া হতো। এখন ঋণ নিয়ে চাষ করলেও যাতে সেটা না-হয় তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কৃষিদপ্তর।

রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা ঋণ দিলেও ব্যাপক নয়ছয়ের অভিযোগ ! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমীক্ষা বিশেষজ্ঞ সংস্থার

রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষিবিমা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় যেসব জেলায় ধানচাষ মার খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় সেখানে শস্যবিমা করানোর জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হয়। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া প্রভৃতি জেলায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়েছে। সব জেলাতেই এবার বেশি সংখ্যক চাষিকে শস্যবিমার আওতায় আনতে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার সুফল পাওয়া গিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট